বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে। —ফাইল চিত্র।
বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের অন্যতম মূল অভিযুক্ত অবশেষে গ্রেফতার। বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ১৮টি জায়গায় চিরুনি তল্লাশির পর অবশেষে সাফল্য এসেছে। ধৃতের নাম মুজ়াম্মিল শরিফ। তাঁকে খুঁজতে কর্নাটকের ১২টি এলাকা, তামিলনাড়ুর পাঁচটি এলাকা এবং উত্তরপ্রদেশের এক জায়গায় তল্লাশি চালান এনআইএর আধিকারিকেরা।
গত ১ মার্চ রামেশ্বরম ক্যাফেতে ঢুকে বিস্ফোরক বোঝাই ব্যাগ রেখে আসেন এক ব্যক্তি। তাতে টাইমার সেট করা ছিল। এক ঘণ্টা পর হয় বিস্ফোরণ। তাতে ১০ জন আহত হন। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিস্ফোরকের মাত্রা খুব বেশি না থাকায় অভিঘাত তেমন জোরালো হয়নি। ৩ মার্চ ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, ওই ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত এই মুজ়াম্মিল। ২৭ দিন পর মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হল।
রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের ঘটনায় মুজ়াম্মিল ছাড়া আরও দুই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছে এনআইএ। তাঁরা হলেন মুসাভির শাজ়িব হুসেন এবং আব্দুল মাঠিন তাহা। তাঁদের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। এই দু’জনও ঘটনার সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন বলে দাবি এনআইএর।
গত ১৭ মার্চ কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা এই তিন অভিযুক্তের বাড়ি, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অন্যান্যদের বাড়ি, দোকান প্রভৃতি এলাকায় তল্লাশি চালান। এই অভিযানের সময়ে বেশ কিছু ডিভাইস এবং নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় এর আগে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। তাঁর নাম শাবির। তাঁর সাম্প্রতিক ভ্রমণের সূচি জানার পরেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। তার পর গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিলকে।