প্রাথমিক ময়নাতদন্তের পর জানা গিয়েছিল, তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তার পর তদন্ত চলে। গ্রেফতার করা হয় ২ অভিষুক্তকে। প্রতীকী ছবি।
কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে লাটভিয়ার এক মহিলাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ২ যুবকের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। ৩ বছর পর, মঙ্গলবার ৬ ডিসেম্বর তিরুঅনন্তপুরমের নিম্ন আদালতে বিচারক সেই মামলার রায় ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত ২ জনকে ধর্ষণ এবং খুনের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে দোষী ২ যুবককে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক। এই টাকা নিহতের পরিবার পাবে। তিরুঅনন্তপুরমের অতিরিক্ত জেলা আদালতে নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ২ অভিযুক্ত দোষী প্রমাণিত হয়েছিল। তবে শাস্তির সঠিক সিদ্ধান্তে না পৌঁছানোর কারণে রায় পিছিয়ে গিয়েছিল।
অবশ্য ২ অভিযুক্ত উমেশ এবং উদয়ন আদালতের কাছে লাই ডিটেকটর পরীক্ষা করানোর আর্জি জানিয়েছেন।
২০১৮ সালে ওই তরুণী, তাঁর প্রেমিক অ্যান্ড্রু এবং তরুণীর বোন ইলজি আয়ুর্বেদিক চিকিত্সা করানোর জন্য কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের এক গ্রামে এসেছিলেন। সেই তরুণীর বোন এবং প্রেমিকের দাবি, ১৪ মার্চ থেকে তরুণী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁকে কোভালম যাওয়ার রাস্তায় এক রিকশায় শেষ দেখা গিয়েছিল। তাঁর সঙ্গে মোবাইল ফোন বা পাসপোর্ট ছিল না। ওই বছর ২০ এপ্রিল, পুলিশ সেই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল কোভালম যাওয়ার পথের পাশের এক খাল থেকে। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের পর জানা গিয়েছিল, তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তার পর তদন্ত চলে। গ্রেফতার করা হয় ২ অভিষুক্তকে।