কেরলে সোনা পাচার কাণ্ডে ধৃত স্বপ্না সুরেশ। —ফাইল চিত্র
করোনা সংক্রমণের প্রথম দিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে দক্ষতা দেখিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে ছিল শাসক শিবির। নতুন করে আবার কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশিই সোনা পাচারের কেলেঙ্কারির জেরে উত্তপ্ত কেরলের রাজনীতি। বিরোধী কংগ্রেস এবং বিজেপি একযোগে বাম সরকারকে আক্রমণে নেমেছে। তাদের নিশানায় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সিপিএম অবশ্য পাল্টা বলছে, সরকারের গোপন করার কিছু নেই। কেন্দ্রীয় তদন্তেই যা হওয়ার, তা হবে।
কোভিড আবহ এবং কনটেনমেন্ট এলাকার কড়াকড়ি থাকায় পথে নেমে প্রথাগত প্রতিবাদ আপাতত দক্ষিণী এই রাজ্যেও হচ্ছে না। তবে ‘ভার্চুয়াল’ সভা থেকেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নড্ডা কটাক্ষ করেছেন, কেরলে সোনার রং লাল! তার মাসুল বামেদের দিতে হবে। বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা রমেশ চেন্নিতালা আবার দাবি করেছেন, সোনা পাচার-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নকেও জেরা করতে হবে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের লোকজনের নাম জড়াচ্ছে। তাঁর উচিত ছিল ইস্তফা দেওয়া। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের কাউকেই আড়াল করা হবে না। তা-ই যদি হয়, তা হলে ওঁকেও জেরার মুখোমুখি হতে হবে।’’ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী এবং সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য টমাস আইজ্যাক আবার পাল্টা বলছেন, ‘‘নড্ডা কী করে জানলেন, সোনার রং লাল? সবুজ বা গেরুয়া নয় তো? তদন্ত এগোতে দিন। সবই জানা যাবে!’’
এমন উত্তাপ ছড়ানোর সূত্রপাত কিছু দিন আগে কোচি বিমানবন্দরে সোনা উদ্ধারের একটি ঘটনাকে ঘিরে। একটি ব্যাগ তল্লাশি করে প্রায় ১৫ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার করেছিল শুল্ক দফতর। উপসাগরীয় দেশগুলির সঙ্গে সোনা পাচারের কোনও চক্র রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন: ‘মিথ্যাচারী’, কোভিড নিয়ে সরব রাহুল গাঁধী