রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ নোটিস দিলেন কেরলের রাজ্যপাল। —ফাইল ছবি।
আদালতে ধাক্কা খাওয়ার পর নিজের অবস্থান থেকে আপাতত কিছুটা পিছু হঠলেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। মঙ্গলবার তিনি কেরলের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ নোটিস পাঠিয়েছেন। এর আগে রাজ্যপাল তথা উপাচার্য হিসাবে আরিফ ওই উপাচার্যদের পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখন সেই অবস্থান থেকে তিনি সরে দাঁড়ালেন।
গত দু’দিনে কেরল রাজভবন থেকে ১১টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, কেন তাঁদের পদ থেকে সরানো হবে না তা জানাতে হবে। আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে উত্তর দিতে হবে উপাচার্যদের। এর আগে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার আরও দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে নোটিস পাঠানো হয়।
নিয়োগে ত্রুটি থাকায় কেরলের এপিজে আব্দুল কালাম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমএস রাজশ্রীকে বরখাস্ত করে সুপ্রিম কোর্টে। তার পরই গত রবিবার রাজ্যপাল আরিফ কেরলের ৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেয়। কারণ হিসাবে জানানো হয়, উপাচার্য নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশিকা মানা হয়নি। প্যানেলে একাধিক নাম দেওয়া হয়নি। এমনকি, উপাচার্য বাছাই করতে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়নি বলেও অভিযোগ ওঠে। যদিও রাজ্যপালের নির্দেশ মেনে উপাচার্যদের পদত্যাগ না করতে পরামর্শ দেয় সে রাজ্যের শিক্ষা দফতর।
ওই উপাচার্যরা রাজ্যপালের নির্দেশের বিরুদ্ধে কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। উচ্চ আদালত রাজ্যপালের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। একই সঙ্গে উপাচার্যদের কারণ দর্শানোর নোটিসের জবাব দিতে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। এর পরই নিজের অবস্থান বদল করে উপাচার্যদের শো-কজ নোটিস দেন রাজ্যপাল।