‘প্রমাণ’ তুলে দেখালেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা। ছবি: টুইটার।
দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় তৃতীয় বার এনফোর্সমেন্টের দফতরে হাজির হওয়ার ঠিক আগে ‘প্রমাণ’ দেখালেন ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী তথা তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কে কবিতা। ইডির দাবি ছিল, প্রমাণ মুছতে তিনি একাধিক ফোন নষ্ট করেছেন। মঙ্গলবার ইডি দফতরে যাওয়ার আগে হাতের ব্যাগ উঁচিয়ে কবিতা দাবি করেন, ইডি যে ফোন নষ্টের অভিযোগ করছে, সেই ফোন এই ব্যাগে রয়েছে।
সোমবার থেকে টানা ইডির জেরার মুখে পড়েছেন কবিতা। আগে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে ইডি দাবি করেছিল, প্রমাণ মুছতে অন্তত ১০টি ফোন নষ্ট করেছেন কবিতা। কিন্তু মঙ্গলবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে ইডি দফতরে যাওয়ার সময় সেই কবিতাই সঙ্গে করে নিয়েছেন দু’টি প্লাস্টিকের ব্যাগ। কবিতার দাবি, ওই ব্যাগে ভরা রয়েছে একাধিক ফোন। অর্থাৎ, তিনি যে ফোন নষ্ট করেননি, তার প্রমাণ হাতে নিয়েই ইডির দফতরে চললেন কবিতা।
এ নিয়ে তৃতীয় বার কেন্দ্রীয় এজেন্সির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেন কবিতা। গত ১১ মার্চ এবং ২০ মার্চ দু’বার তিনি ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন। মঙ্গলবার, তাঁকে আবারও তলব করা হয়। দিল্লি আবগারি দুর্নীতির মামলায় ইডি এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। তার মধ্যে রয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নয়া আবগারি নীতির মধ্যে দিয়ে তিনি ‘সাউথ লবি’কে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ইডি কথিত এই ‘সাউথ লবি’তে রয়েছেন, অরবিন্দ ফার্মার শরৎ রেড্ডি, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সাংসদ মাগুনটা শ্রীনিবাসুলুরেড্ডি, তাঁর ছেলে রাঘব মাগুনটা এবং কবিতা।
কবিতা অবশ্য তাঁকে ইডির জেরা নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি এবং তাঁর দল গোটা তেলঙ্গানা জুড়ে প্রচার চালাচ্ছে। বিআরএসের অভিযোগ, তেলঙ্গানা দখলের লক্ষ্যে বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যবহার করছে। এই অবস্থার মধ্যে তৃতীয় বার ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে নেত্রী কবিতা।