—প্রতীকী ছবি।
পাঁচ বছর পর জেল থেকে মুক্তি পেলেন কাশ্মীরের সাংবাদিক আসিফ সুলতান। জম্মু-কাশ্মীর হাই কোর্ট ডিসেম্বর মাসের ১১ তারিখ আসিফকে মুক্তি দিলেও শ্রীনগরের জেলাশাসক ও ভূস্বর্গের স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে ছাড়পত্র (ক্লিয়ারেন্স লেটার) আসতে লেগে গেল এত দিন। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের অম্বেডকর নগর জেল থেকে মু্ক্তি পেয়েছেন আসিফ। বস্তুত ২০১৮ সালে গ্রেফতার হওয়ার পরে ২০২২ সালের এপ্রিলেই জামিন পেয়েছিলেন আসিফ। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীর জননিরাপত্তা আইনের ধারা প্রয়োগ করে তাঁকে আটক রাখা হয়েছিল। এ বার হাই কোর্ট সেই আটক-নির্দেশই খারিজ করেছে। তারা বলেছে, কিসের ভিত্তিতে আটক করা হচ্ছে, সেই সব নথি আসিফকে দেখানো হয়নি।
ঘটনার শুরু ২০১৮-র জুলাইয়ে। ‘কাশ্মীর ন্যারেটর’ নামে একটি মাসিক পত্রিকায় নিহত জঙ্গি বুরহান ওয়ানিকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন লেখেন আসিফ। সেখানে হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্যদের বক্তব্যও ছিল। আসিফের ভাইয়ের অভিযোগ, তার পরেই পুলিশ আসিফকে তাঁর ‘সোর্স’ ফাঁস করার জন্য চাপ দিতে থাকে। তার পরে তাঁকে ইউএপিএ এবং কাশ্মীরে তখন চালু থাকা রণবীর দণ্ডবিধিতে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু জঙ্গিদের সঙ্গে তাঁর যোগসাজশের প্রমাণ মেলেনি বলে শ্রীনগর আদালত আসিফকে জামিন দেয় ২০২২-এ। তার পরে আসিফকে ফের আটক করে আগরা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। হাই কোর্টে মুক্তির জন্য আবেদন করেন আসিফ। বিচারপতি বিনোদ চট্টোপাধ্যায় কল গত ডিসেম্বর মাসে আসিফকে মুক্তি দিয়েছেন। এত দিনে আসিফ ঘরে ফিরছেন।