প্রজ্বল রেভান্না। — ফাইল চিত্র।
দেশে ফিরছেন প্রজ্বল রেভান্না। ‘অশ্লীল’ ভিডিয়োকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই দেশছাড়া ছিলেন তিনি। তাঁকে দেশে ফেরানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে কর্নাটক সরকার। প্রজ্বলের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করার আবেদনও জানানো হয়েছিল। কিন্তু কিছুতেই তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে প্রজ্বল নিজেই জানালেন ফেরার কথা। শুধু তা-ই নয়, দেশে ফিরে বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) মুখোমুখিও হবেন তিনি, তা-ও জানান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার পৌত্র। তবে একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’-এর শিকার বলেও সবর হন প্রজ্বল।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রজ্বল বলেন, ‘‘আমি ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলাম, তাই নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমার রাজনৈতিক উত্থান সহ্য করতে না পেরে হাসনেরই কিছু শক্তি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।’’ তার পরই হাসনের বিদায়ী সাংসদ বলেন, ‘‘আমাকে দয়া করে ভুল বুঝবেন না। আমি ৩১ মে সকাল ১০টার সময় সিটের সামনে হাজিরা দেব। পুলিশের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করব। বিচার ব্যবস্থার উপর আমার আস্থা রয়েছে।’’
‘অশ্লীল’ ভিডিয়োকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই দেশছাড়া হাসনের বিদায়ী সাংসদ তথা লোকসভা ভোটে জেডিএসের প্রার্থী প্রজ্বল। দেবগৌড়ার পৌত্র প্রজ্বলের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলাকে ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া সরকার। জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানাও। তবে তিনি এখন কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে পুলিশের কাছে কোনও তথ্য নেই। তবে একটি সূত্র দাবি করেছিল, ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই প্রজ্বল তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করে জার্মানিতে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
নাতিকে দেশে ফিরতে বার্তা দিয়েছিলেন দেবগৌড়া। জেডিএস সাংসদ দেবগৌড়া গত বৃহস্পতিবার জানান, তদন্তে যদি প্রজ্বল দোষী প্রমাণিত হন, তবে তাঁর কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। একই সঙ্গে প্রজ্বলকে ফিরে এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশও দেন তিনি।