প্রতীকী ছবি।
শিক্ষাগত যোগ্যতার ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করে সেচ দফতরের চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন বেশ কয়েক জন পরীক্ষার্থী। তদন্তে নেমে ৩৭ জন পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করল বেঙ্গালুরু পুলিশ।
২০২২ সালে কর্নাটকের সেচ দফতরের ফাঁকা পদের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল সেচ দফতরের তরফে। শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে সরাসরি চাকরির কথা বলা হয়েছিল। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছিলেন বেশ কিছু পরীক্ষার্থী। অভিযোগ, চাকরি পাওয়ার জন্য বেশ কিছু পরীক্ষার্থী দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষার ভুয়ো শংসাপত্র বানিয়ে সেই শংসাপত্র ব্যবহার করে চাকরির আবেদন করেছিলেন।
সেচ দফতর বিষয়টি আঁচ করতে পেরেই ২০২৩ সালে একটি অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে রাজ্য পুলিশের অপরাধদমন শাখা। তখনই তদন্তে উঠে আসে এক বা দু’জন নয়, ৬২ জন অযোগ্য প্রার্থী চাকরির জন্য নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করতে দ্বাদশ শ্রেণির শংসাপত্র বানিয়ে অনলাইনে আবেদন করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, এই চাকরিপ্রার্থীরা ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করায় যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা সুযোগ হারিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৩৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এখনও আরও ২৫ জনের খোঁজ চলছে। মোট ৬২ জনের মধ্যে ২৫ জন কালবুর্গি জেলার, ১২ জন হাসনের, তিন জন করে বিজয়পুর, বিদার এবং ইয়াদগির জেলার, বেলগামে ৬ জন, চিত্রদুর্গে দু’জন, কোলার, কোপাল, রায়চূড়, রামনগর, বিজয়নগরে এক জন করে জড়িত এই ঘটনায়।