—প্রতীকী চিত্র।
রাতে আচমকা প্রতিবেশীর বাড়িতে হামলা। কুড়ুলের এলোপাথাড়ি কোপে জখমও হয় দুই নাবালিকা-সহ তিন জন। এই ঘটনায় শোরগোল পড়তেই হামলাকারী যুবককে পাকড়াও করে পিটিয়ে মারলেন গ্রামবাসীরা। ঝাড়গ্রামের জামবনি থানার অন্তর্গত কেশরিপুর গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম সনাতন হাঁসদা ওরফে রাহুল (৩২)। তাঁর হামলায় জখম তিন জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ মত্ত অবস্থায় এক প্রতিবেশীর বাড়িতে হামলা চালান সনাতন। কুড়ুল নিয়ে বাড়িতে ঢুকে এক মহিলা ও তাঁর সন্তানদের কোপানোর চেষ্টা করেন তিনি। মহিলার চিৎকারেই ছুটে যান অন্য প্রতিবেশীরা। বাড়ির দরজা ভেঙে যুবককে বাইরে বার করে বেধড়ক মারধর করা হয়। গ্রামবাসীদের মারেই মৃত্যু হয় সনাতনের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জামবনি থানার পুলিশ। যুবকের হামলায় আক্রান্ত দুই নাবালিকা-সহ তিন জনকে ঝাড়গ্রামে গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে তারা। দুই নাবালিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনায় মুড়াকাটি গ্রামের এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের আধিকারিক বলেন, ‘‘এক মত্ত যুবক কুড়ুল নিয়ে এক জনের বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। ঘটনায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে এক জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’