অভিযুক্ত ব্যক্তির সামনে মোতায়েন পুলিশ। —পিটিআই।
মেয়ে ভিন্জাতের যুবকের সঙ্গে প্রেম করায় আপত্তি ছিল বাবার। কিন্তু বাবার বারণ সত্ত্বেও প্রেমিককে ছাড়তে চাননি মেয়ে। শেষ পর্যন্ত সম্মান রক্ষার্থে মেয়েকে খুন করে পাখার সঙ্গে ঝুলিয়ে দিলেন বাবা। প্রেমিকার মৃত্যুর খবর পেয়ে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিলেন প্রেমিকও। খুন এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কর্নাটকের বঙ্গারপেটের বাসিন্দা কৃষ্ণমূর্তির মেয়ে কীর্তি ২৪ বছর বয়সি যুবক গঙ্গাধরের সঙ্গে প্রেম করত। কিন্তু তাঁর এই প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি তাঁর পরিবার। কারণ হিসাবে জানানো হয়েছিল, নিচু জাতের ছেলের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি মেনে নেওয়া হবে না। এই নিয়ে মেয়ের সঙ্গে বাবার কথা কাটাকাটিও হয়। অভিযোগ, উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হতে হতেই মেয়ের দিকে তেড়ে যান কৃষ্ণমূর্তি। তার পর গলা টিপে খুন করেন মেয়েকে। কীর্তির মৃত্যুর পর তাঁর দেহটি পাখার সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করেছিল পুলিশ। কিন্তু বেশ কিছু বিষয়ে তদন্তকারীদের মধ্যে খটকা দেখা দেয়। কৃষ্ণমূর্তিকে জেরা করে জানা যায়, কীর্তিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রেমিকার মৃত্যুর খবর পেয়ে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন পেশায় রাজমিস্ত্রি গঙ্গাধরও। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয় পুলিশ সুপার কে ধারণি দেবী জানান, খুনের অভিযোগে কৃষ্ণমূর্তিকে গ্রেফতার করে ৩০২ ধারায় মামলা করা হয়েছে।