Prajwal Revanna

প্রজ্বলকে খুঁজে পেতে ব্লু কর্নার নোটিস জারি, তদন্তে সিটকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে: কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

‘অশ্লীল’ ভিডিয়োকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার প্রপৌত্র প্রজ্বলের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলাকে ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে। তার পর থেকেই দেশ ছাড়া তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৪ ১৪:৪৭
Share:

প্রজ্বল রেভান্না। — ফাইল চিত্র।

‘অশ্লীল’ ভিডিয়োকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত প্রজ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে জারি হল ব্লু কর্নার নোটিস। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর জানান, এই মামলায় তদন্তের স্বার্থে প্রজ্বলকে খুঁজে বার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও জানান, এই মামলার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দলকে (সিট) সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

‘অশ্লীল’ ভিডিয়োকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার প্রপৌত্র প্রজ্বলের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলাকে ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। তার পর থেকেই দেশছাড়া তিনি। প্রজ্বলকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকার। তবে তিনি এখন কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে সিটের কাছে কোনও তথ্য নেই।

প্রজ্বলের খোঁজ পেতে তাই সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তদন্তকারী অফিসারেরা। তার পরই গুঞ্জন শুরু হয়, দেবগৌড়ার নাতিকে খুঁজে বার করতে ব্লু কর্নার নোটিস জারি করতে পারে সিবিআই। সেই নিয়ে রবিবার পরমেশ্বরকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এটা সত্যি যে, প্রজ্বলকে খুঁজে বার করার জন্য ব্লু কর্নার নোটিস জারি করা হয়েছে। আমরা তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। সিট সমস্ত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রজ্বলকে ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য সব রকম ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে।’’ পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান, এই মামলার তদন্তে সিট-কে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এই মামলায় প্রজ্বলের পাশাপাশি তাঁর বাবা তথা দেবগৌড়ার পুত্র এইচডি রেভান্নাারও নাম জড়িয়েছে। এক মহিলাকে অপহরণের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে শনিবার সন্ধ্যায় রেভান্নাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কর্নাটক পুলিশের সিট। অপহৃত মহিলার ছেলে সম্প্রতি রেভান্না এবং তাঁর সঙ্গী সতীশের বিরুদ্ধে মাকে অপহরণ করার অভিযোগ আনেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, অপহৃত মহিলা পাঁচ বছর ধরে রেভান্নার বাড়িতে কাজ করতেন। কিন্তু তিন বছর আগে তিনি কাজ ছেড়ে দেন। অভিযোগ, গত ২৬ এপ্রিল রেভান্না-সঙ্গী সতীশ ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে যান। সেই দিন অবশ্য ওই মহিলা বাড়ি ফিরে আসেন। তার পর গত ২৯ এপ্রিল আবার ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার পর থেকে বাড়ি ফেরেননি তিনি। তার পরই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন অপহৃত মহিলার ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ ওঠার পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে আগাম জামিনের আর্জি জানান। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দেয়। তার পরেই তাঁকে হেফাজতে নেয় সিট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement