প্রতীকী ছবি।
মাংস বিক্রি নিয়ে আবার অশান্তি শুরু হল কর্নাটকে। মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেছিলেন, তাঁর সরকার এই সংক্রান্ত সমস্যা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক মাংস বিক্রেতা এবং এক হোটেল ব্যবসায়ী আক্রান্ত হলেন কর্নাটকে।
দু’টি ঘটনাতেই অভিযুক্ত বজরঙ দলের সদস্যরা। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ কর্নাটকের ভদ্রাবতীর হোসামানে থানা এলাকার একটি মাংসের দোকানে হালাল-ছাড়া মাংসের খোঁজ করতে আসে দলটি। পুলিশকে ওই মাংসবিক্রেতা থুসিফ জানিয়েছেন, তাঁর কাছে যে হালাল ছাড়া মাংস নেই, সে কথা ক্রেতাদের জানিয়েছিলেন তিনি। একইসঙ্গে এ-ও বলেছিলেন, তাঁর কাছে না থাকলেও তিনি হালাল ছাড়া মাংসের জোগাড় করে দিতে পারবেন। কিন্তু ক্রেতারা তাতে কর্ণপাত করেননি। বরং ক্ষিপ্ত হয়ে সেখানেই তাঁর উপর চড়াও হন বজরং দলের সদস্যরা। মারধরও করেন। ওই বিশেষ ধরনের মাংস রাখতে বলে তাঁকে হুমকিও দেন। এই ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করেছে কর্নাটক পুলিশ।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে শিবমোগ্গা জেলায়। সেখানে এক হোটেল ব্যবসায়ীর কাছে চাহিদা মতো মাংস চেয়েও না পাওয়ায় হামলা চালান বজরং সদস্যরা। ওই হোটেল ব্যবসায়ীকে হেনস্থা করার অভিযোগও দায়ের করেছে পুলিশ।
গত বেশ কয়েকদিন ধরেই এই ধরনের অশান্তি শুরু হয়েছে কর্নাটকের বিভিন্ন প্রান্তে। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ জানিয়েছেন, তাঁর সরকার বিষয়টি নিয়ে অবগত। তবে এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চাইছে কর্নাটক সরকার।