সাধারণ বাজেটেই বিভিন্ন পরিবর্তনের কাথা বলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ফাইল চিত্র
১ এপ্রিল থেকে শুরু হল নতুন অর্থবর্ষ। আর এই অর্থবর্ষে আয়করের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বদল এসেছে। এর মধ্যে কোনওটা করদাতাদের সুবিধা করে দেবে। কোনওটা বাড়তি চাপ তৈরি করবে। সবগুলির কথাই অবশ্য গত সাধারণ বাজেটের সময়ে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
আয়কর রিটার্ন সংশোধনে বাড়তি সময়
আয়কর রিটার্নে কোনও ত্রুটি সংশোধনের জন্য একটি আপডেট রিটার্ন ফাইল করার অনুমতি পান করদাতারা। এই ক্ষেত্রে যে নতুন নীতি নেওয়া হয়েছে তাতে করদাতারা যে অর্থবর্ষের মূল্যায়ন জমা দিচ্ছেন তার পরের দু’বছরের মধ্যে একটি আপডেট রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
ক্রিপ্টোকারেন্সিতে কর
এপ্রিল মাস থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের লাভের উপরে ৩০ শতাংশ আয়কর ধার্য হবে৷ ক্রিপ্টোর লেনদেনের উপর এক শতাংশ টিডিএস-এর নিয়ম চালু হবে আগামী জুলাই মাস থেকে৷ আবার কোনও ক্রিপ্টো থেকে লোকসান হলেও যেটি থেকে লাভ হবে সেটির করে কোনও ছাড় পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ, কেউ যদি বিটকয়েনে এক হাজার টাকা লাভ করেন এবং ইথেরিয়ামে এক হাজার টাকা লোকসান হয়, তাহলে আপনাকে লাভের এক হাজার টাকার উপর আয়কর দিতে হবে।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদে কর
আড়াই লাখ টাকার উপরে কেউ প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা রাখলে তার সুদের উপরে কর দিতে হবে। এর জন্য পিএফ অ্যাকাউন্টের দু’টি ভাগ করা হতে পারে। তবে খুব কম চাকরিজীবীই এই করের আওতায় পড়বেন।
কোভিড চিকিৎসায় ছাড়
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে কেউ সাহায্য বাবদ কোনও টাকা পেলে তা করমুক্ত হবে। কোভিডে মৃতদের পরিবারও কোনও টাকা পেলে তার জন্য কর দিতে হবে না। তবে সেই টাকার পরিমাণ ১০ লাখ টাকার বেশি হলে তা করযোগ্য হবে।
বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুর অভিভাবকদের জন্য ছাড়
বিশেষ ভাবে সক্ষম কোনও শিশুর পিতামাতা যদি সন্তানের নামে কোনও বিমা প্রকল্প করেন তবে তা করযোগ্য আয় থেকে বাদ যাবে। এর জন্য কর দিতেই হবে না।