দেশে এখন অগ্নিমূল্য টোম্যাটো। — ফাইল চিত্র।
দেশে এখন সোনার মতোই মূল্যবান টোম্যাটো। উত্তরাখণ্ডের কয়েকটি জেলায় এক কেজি টোম্যাটোর দাম ২০০ টাকারও বেশি। গঙ্গোত্রী ধামে টোম্যাটো বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা কেজি দরে। কম যায় না কর্নাটকও। সে কারণে এই রাজ্যের বেশ কিছু রেস্তরাঁ টোম্যাটোর রসম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে টোম্যাটো চুরির অভিযোগও উঠছে। তা রুখতে অভিনব পদক্ষেপ করলেন এক বিক্রেতা। সব্জির দোকানে বসালেন সিসি ক্যামেরা।
সরকারি সংগঠন এপিইডিএ (এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড প্রসেসড ফুড প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি) জানিয়েছে, দেশে টোম্যাটো উৎপাদনকারী রাজ্যগুলির মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কর্নাটক। সারা দেশে যত টোম্যাটো উৎপাদন হয়, তার ১০.২৩ শতাংশ সেখানে উৎপন্ন হয়। এ হেন কর্নাটকে এখন এক কেজি টোম্যাটোর দাম ১৩০ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এই পরিস্থিতিতে বাজার থেকে, ক্ষেত থেকে টোম্যাটো চুরির অভিযোগও উঠেছে।
সদ্যই ক্ষেত থেকে টোম্যাটো তুলেছেন হাভেরির আক্কি আলুরুর মুত্তাপ্পা। তিনি এক জন কৃষক। বাজারে বিক্রির জন্য এনেছেন টোম্যাটো। বাজার থেকে সেই টোম্যাটো চুরি হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। সে কারণে মুত্তাপ্পা নিজের দোকানে সিসিটিভি বসিয়েছেন। মুত্তাপ্পা বলেন, ‘‘আমার দোকানে টোম্যাটো খুব তাজা থাকে। তাই বহু মানুষ টোম্যাটো কিনতে আসেন। আমি যখন অন্য ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলি, সেই ফাঁকে অনেকেই দু-একটা টোম্যাটো নিয়ে সরে পড়েন। সব দিক দেখা সম্ভব নয়। তাই সিসি ক্যামেরা বসিয়েছি।’’
অন্য দিকে হাসান জেলার গোনি সোমানাহাল্লি গ্রামে এক কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। ক্ষেত থেকে টোম্যাটো তুলে ৫০ থেকে ৬০টি বস্তায় ভরে রেখেছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে দেখেন বস্তাগুলি উধাও। টোম্যাটো চুরির এ রকম আরও অভিযোগ উঠেছে কর্নাটকে।