Justice Abhijit Gangopadhyay

ববিতার মামলায় ২০১৬ সালে নিযুক্ত ৫,৫০০ জনের উত্তরপত্র প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ওএমআর শিটের পাশাপাশি নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, স্কুলের নাম-সহ ৯০৭ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে, যাঁদের বিকৃত উত্তরপত্র উদ্ধার করেছিল সিবিআই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩ ১৬:৪১
Share:

ববিতার মামলায় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।

একদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ববিতা সরকারের মামলায় নির্দেশ হাই কোর্টের। শুক্রবার বিচারপতি জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে ৫,৫০০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা-সহ ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র প্রকাশ করতে হবে। ওএমআর শিটের পাশাপাশি নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, স্কুলের নাম-সহ ৯০৭ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে, যাঁদের বিকৃত উত্তরপত্র উদ্ধার করেছিল সিবিআই।

Advertisement

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ২০১৬ সালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষার বিস্তারিত মেধাতালিকার প্রকাশের আবেদন করে মামলা করেন ববিতা। তাঁর দাবি, ২০১৬ সালের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৫,৫০০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ৯০৭টি বিকৃত উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) উদ্ধার করে সিবিআই। তার মধ্যে ১৩৮ জন ছিলেন প্রতীক্ষিত তালিকায় (ওয়েটিং লিস্টে)।

ববিতার আবেদন, একাদশ-দ্বাদশের বিস্তারিত তথ্য-সহ প্যানেল প্রকাশ পেলে কারা, কী ভাবে, কোথায় চাকরি পেয়েছেন তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। যদি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রথম ২০ জনের মধ্যে দুর্নীতির কারণে কেউ চাকরি পেয়ে থাকেন, তবে তাঁর আবার শিক্ষিকা হওয়ার সুযোগ আসবে। তাই প্যানেল প্রকাশ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৬ সালে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে চাকরি পাওয়া ৫,৫০০ জনের উত্তরপত্র প্রকাশের নির্দেশ দেন।

Advertisement

এক সময় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর বিরুদ্ধে নিয়ম-বহির্ভূত পদ্ধতিতে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হন ববিতা। মামলা শেষে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্কুলশিক্ষিকা পদ হারিয়েছিলেন অঙ্কিতা। সেই চাকরি ববিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর পর ববিতারও চাকরি বাতিলের দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকা। তাঁর অভিযোগ ছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর কাছে আবেদন করার সময় ববিতার স্নাতকস্তরের শতকরা নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে, যার ফলে তাঁর ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ বেড়ে গিয়েছে।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে এ বার চাকরি হারান ববিতা। সেই চাকরি অনামিকাকে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অঙ্কিতার থেকে যে টাকা ববিতা পেয়েছিলেন, তা-ও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন ববিতা। সেই মামলা এখনও ডিভিশন বেঞ্চেই বিচারাধীন। তার মাঝেই মেধাতালিকা, উত্তরপত্র দেখতে চেয়ে নতুন মামলা করলেন ববিতা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement