পুলিশ ছোটুর বাড়িতে গিয়ে একটি ঘর থেকে ১৩ বছরের নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। —প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রী পরকীয়া করছেন। এই সন্দেহে মারধর করেছিলেন তাঁকে। পরে স্ত্রীর নাক কেটে, মেয়েকে খুন করে করে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে কানপুরে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার কানপুরে ৩৭ বছরের যুবক ছোটু শাহ নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন। তার আগে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর নাক কেটে দিয়েছেন তিনি বলে অভিযোগ। এমনকি, ১৩ বছরের কন্যাকেও বেধড়ক মারধর করার পর খুন করে ফেলেন বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ছোটু ছিলেন পঞ্চায়েত সদস্য। স্ত্রী রুখসার, মেয়ে আরজু এবং দুই ছেলে আরিফ এবং আরিয়ানকে নিয়ে তাঁর সংসার। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে দম্পতির বনিবনা হচ্ছিল না বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। প্রায় প্রতি দিনই দু’জনের ঝগড়া হত। ছোটুর সন্দেহ ছিল স্ত্রীর ‘অন্য সম্পর্ক’ রয়েছে। ঝামেলা এমন জায়গায় পৌঁছয় যে গত আট মাস ধরে দম্পতি আলাদা থাকতেন। পুলিশকে রুখসার জানিয়েছেন, দিন তিনেক আগে সন্তানদের দেখতে এসেছিলেন স্বামীর বাড়িতে। কিন্তু আবার অশান্তি শুরু হয় তাঁদের মধ্যে। শুরু হয় মারধর। বাবা-মায়ের ঝামেলা থামাতে এসেছিল মেয়ে। কিন্তু ছোটু মেয়েকে বেধড়ক মারধর করেন।
পুলিশ ছোটুর বাড়িতে গিয়ে একটি ঘর থেকে ১৩ বছরের নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। অন্য ঘরে মেলে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন ছোটুও। স্ত্রীর অভিযোগ, স্বামী তাঁকে মারধর করতে করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর নাক কেটে দেন। মেয়েকেও আঘাত করেন। তার পর মেয়েকে একটি ঘরে ঝুলিয়ে দিয়ে অন্য ঘর বন্ধ করে আত্মহত্যা করেন।
রুখসার চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁরা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন রুখসারকে। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করান। খবর দেওয়া হয় পুলিশ। ঠিক কী ঘটেছিল, ওই সময় দুই ছেলে কোথায় ছিল এবং কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে এমন ঘটনা ঘটল তার তদন্ত শুরু হয়েছে।