Kanpur

‘মারা যাননি, কোমায় আছেন’, দাবি করে দেড় বছর ধরে  গৃহকর্তার দেহ আগলে পরিবার

পুলিশ-সহ স্বাস্থ্য দফতরের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মৃতদেহটিকে কাপড়ে শক্তভাবে মুড়িয়ে মমি করে রাখা হয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কানপুর শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:৩১
Share:

পুরো বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রতীকী ছবি।

মারা গিয়েছেন গৃহকর্তা। তবুও বেঁচে আছেন দাবি করে দেড় বছর ধরে তাঁর মৃতদেহ আগলে পরিবার। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরও পরিবারের তরফে মৃতদেহ দাহ করতে অস্বীকার করা হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। উত্তরপ্রদেশের কানপুরের রোশন নগর এলাকার ঘটনা।

Advertisement

ওই ব্যক্তির মৃতদেহ তাঁর পরিবারের লোকেরা দেড় বছর ধরে বাড়িতে রেখে দিয়েছেন খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যায় স্থানীয় প্রশাসন। পুলিশ-সহ স্বাস্থ্য দফতরের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মৃতদেহটিকে কাপড়ে শক্তভাবে মুড়িয়ে মমি করে রাখা হয়েছিল। যদিও পরিবারের দাবি, তিনি মারা যাননি। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি কোমায় আছেন বলেও পরিবারের দাবি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রোশন নগরের বাসিন্দা মৃত ওই ব্যক্তির নাম বিমলেশ। তিনি আয়কর বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি হাসপাতালেই মারা যান।

Advertisement

তবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কিছু আগে পরিবারের তরফে দাবি করা হয় যে, বিমলেশের জ্ঞান ফিরেছে। এর পর থেকে বিমলেশের মৃতদেহ বিছানায় শুইয়ে রাখা হত এবং স্বজনদের বলা হয়েছিল যে, তিনি কোমায় ছিলেন।

পুরো বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রশাসনের তরফে মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হলেও পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহটি পোড়াতে রাজি নন বলেও স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement