আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। ফাইল চিত্র।
তাইওয়ান প্রণালীর পর কি নয়া উত্তেজনার কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে কোরিয়া সীমান্ত? পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যান আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তাঁর সফরের আগেই মাঝারি পাল্লার দু’টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে পরীক্ষামূলক ভাবে উৎক্ষেপণ করল উত্তর কোরিয়া।
হ্যারিস বৃহস্পতিবার উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত যান। যুযুধান দুই দেশের সীমান্তের মাঝে ‘বাফার জোন’ এলাকা পরিদর্শন করেন। এই বাফার এলাকার দুই পাশে প্রায় চার কিলোমিটার জুড়ে দুই দেশই কোনও সৈন্য মোতায়েন করে না। তার আগেই অবশ্য হ্যারিস দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োলের সঙ্গে দেখা করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর উত্তর আমেরিকার কড়া সমালোচনা করেন তিনি। হুঁশিয়ারির সুরে জানান, পাঁচ বছরের মধ্যে উত্তর কোরিয়া যদি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়, তবে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ করা হবে।
মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বেআইনি অস্ত্রের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের অভিযোগ তুলে উত্তর কোরিয়ায় ‘ভয়ঙ্কর একনায়কতন্ত্র’ চলছে বলে অভিযোগ করেন হ্যারিস। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তিন মাস ব্যাপী কোরিয়া যুদ্ধের পরে দক্ষিণ কোরিয়া গণতন্ত্রের পথে হাঁটলেও উত্তর কোরিয়া একনায়কতন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ঠান্ডা যুদ্ধের সময় থেকেই ‘সাম্যবাদী’ উত্তর কোরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে চিন আর ‘মুক্ত অর্থনীতি’র দক্ষিণ কোরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। ঠান্ডা যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসান ঘটলেও দুই কোরিয়ার মধ্যে বিরোধের অবসান হয়নি।