ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) নেত্রী কে কবিতা। — ফাইল চিত্র।
দিল্লির আবগারি মামলায় ধৃত ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) নেত্রী তথা তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-এর কন্যা কে কবিতাকে ৮ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। শুক্রবার হায়দরাবাদে নিজের বাসভবন থেকে কবিতাকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার পর সোজা দিল্লি নিয়ে আসা হয় তাঁকে।
শনিবার কবিতাকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। ইডি ১০ দিনের জন্য তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। তবে বিচারক আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।
দিল্লির আবগারি ‘দুর্নীতি’ মামলায় শুক্রবার দুপুরে কবিতার হায়দরাবাদের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। চলে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ। তার পর বিকেলে বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি আনা হয়। ইডি সূত্রের খবর, বিকেল ৫টা ২০ মিনিট নাগাদ কবিতাকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর পাঁচটি মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
শনিবার আদালতে প্রবেশের মুখে নিজের গ্রেফতারি নিয়ে প্রথম মুখ খোলেন কবিতা। তিনি বলেন, ‘‘আমার গ্রেফতারি বেআইনি। এই নিয়ে আদালতে লড়াই করব।’’ ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন কবিতা। অন্য দিকে, দেশের শীর্ষ আদালতে কবিতার দায়ের করা আরও একটি মামলা চলছে। ইডির সমনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছিলেন কে চন্দ্রশেখর রাও-এর কন্যা।
শুক্রবারই সেই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলার প্রসঙ্গ টেনে কবিতার আইনজীবী বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি বিচারাধীন। এমন অবস্থায় কী ভাবে কবিতাকে গ্রেফতার করতে পারে ইডি?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আদালতে ইডি নিজেই জানিয়েছিল, তারা কবিতাকে গ্রেফতার করবে না। তার পরও কী ভাবে এমন পদক্ষেপ করল ইডি?’’ তাঁর মক্কেলকে হয়রানি করার জন্যই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান কবিতার আইনজীবী।
গত ডিসেম্বরে মণীশ সিসৌদিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত অমিত আরোরা নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সূত্রের খবর, তখনই তারা জানতে পারে, এই মামলায় যুক্ত রয়েছেন কবিতাও। কবিতাকে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত বছর জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। তবে সম্প্রতি তিনি ইডির তলব এড়িয়ে গিয়েছেন। এই মামলার চার্জশিটে ইডির অভিযোগ, দিল্লির তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আবগারি বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সিসৌদিয়া আবগারি নীতির পরিবর্তন ঘটিয়ে যে ব্যবসায়িক সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন, কবিতা তার ৬৫ শতাংশের মালিক!