Israel Iran Conflict

কী কারণে ইজ়রায়েলের উপর হামলা, রাষ্ট্রপুঞ্জে ব্যাখ্যা দিল ইরান, জানাল তাদের অবস্থানের কথাও

গত ৭ অক্টোবর গাজ়ায় সংঘর্ষ শুরুর পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে হামাস, হিজ়বুল্লা, হুথি-সহ ইজ়রায়েল-বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইরানের বিরুদ্ধে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৫৪
Share:
Had no choice but to respond, Iran at UN on Israel attack

ইজ়রায়েলের মাটিতে পড়ে ইরানের পাঠানো ড্রোনের একাংশ। ছবি: রয়টার্স।

রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজ়রায়েলের উপর ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণ ব্যাখ্যা করল ইজ়রায়েল। তেহরানের বক্তব্য, ‘আত্মরক্ষা’র জন্যই তাদের এই অভিযান। এ ক্ষেত্রে তাদের হাতে অন্য কোনও উপায় ছিল না বলেও দাবি করেছে পশ্চিম এশিয়ার শিয়াপ্রধান এই দেশটি।

Advertisement

রবিবার রাষ্ট্রপুঞ্জে ইরানের দূত আমির সইদ ইরাভানি বলেন, “আমাদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।” তার পরেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।” পশ্চিম এশিয়ার সাম্প্রতিক অস্থিরতা নিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে ইরান জানিয়েছে, তারা যুদ্ধের পরিধি কিংবা তীব্রতা বাড়ুক, এমনটা চায় না। তবে যে কোনও আগ্রাসন কিংবা হুঁশিয়ারির জবাব দিতে চায়।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে হামলা চালানো হয়। এতে ইরান প্রশাসনের দুই পদস্থ আধিকারিক-সহ মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়। কেউ এই বিমান হামলার দায় স্বীকার না করলেও মনে করা হয় যে, এর নেপথ্যে ছিল ইজ়রায়েল। তার পরেই গত বৃহস্পতিবার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলি হোসেইনি খোমেইনি বলেছিলেন, “ইজ়রায়েলকে অবশ্যই কৃতকর্মের শাস্তি পেতে হবে।” তার পরেই শনিবার মধ্যরাতে প্রায় ২০০টি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ইরান। যদিও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার সাহায্য ‘৯৯ শতাংশ’ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করে ইজ়রায়েল। ফলে বিশেষ ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি সে দেশ থেকে।

Advertisement

অন্য দিকে, ইরানের তরফে দাবি করা হয়েছে, আমেরিকা এবং পশ্চিম এশিয়ার ‘বন্ধু’ দেশগুলিকে জানিয়েই তারা ইজ়রায়েলে হামলা চালায়। যদিও ইরানের এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে আমেরিকা। তাদের বক্তব্য, এই বিষয়ে কোনও কথাই হয়নি ইরানের সঙ্গে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর গাজ়ায় সংঘর্ষ শুরুর পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে হামাস, হিজ়বুল্লা, হুথি-সহ ইজ়রায়েল-বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইরানের বিরুদ্ধে। তারই জেরে গত এক মাসে ইরানের বিভিন্ন ঠিকানায় হামলা চালায় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement