Rahul Gandi

তখন যদি রাহুল ভাবতেন, কংগ্রেসকে পাল্টা খোঁচা বিজেপি নেতা জ্যোতিরাদিত্যের

জ্যোতিরাদিত্য জানান, সে সময় তিনি আশা করিছিলেন রাহুল তাঁকে কংগ্রেসে রাখার বিষয়ে সংক্রিয় হবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভোপাল শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২১ ২০:০২
Share:

রাহুল গাঁধী এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ফাইল চিত্র।

রাহুল গাঁধীর ‘পিছনের সারির লোক’ (ব্যাক বেঞ্চার) মন্তব্যের জবাব দিলেন বিজেপি নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। মঙ্গলবার তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি যখন কংগ্রেসে ছিলাম রাহুলের যদি তখন আমাকে নিয়ে এতটা চিন্তা থাকত, তবে পরিস্থিতি আজ অন্য রকম হত।’’

Advertisement

সোমবার যুব কংগ্রেসের সভায় জ্যোতিরাদিত্যের কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদান প্রসঙ্গে রাহুল বলেছিলেন, ‘‘কংগ্রেসে থাকলে জ্যোতিরাদিত্য মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন। কিন্তু বিজেপি-তে গিয়ে তাঁর স্থান হয়েছে পিছনের সারিতে।’’ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে গেলে গ্বালিয়র রাজ পরিবারের উত্তরসূরিকে কংগ্রেসে ফিরতে হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

একদা রাহুল ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য এক বছর আগে বিজেপি-তে যোগ দেন। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, সে সময় দলের অন্দরের পরিস্থিতিই তাঁকে বিজেপি-তে যোগ দিতে বাধ্য করেছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে বিধানসভা ভোটে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের জয়ের পিছনে জ্যোতিরাদিত্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে তাঁর নাম নিয়ে জল্পনা চললেও কোনও পদই তাঁকে দেয়নি কংগ্রেস। বরং মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ মিলে কংগ্রেসের অন্দরে তাঁকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। জ্যোতিরাদিত্য মঙ্গলবার বলেন, ‘‘সে সময় আমি আশা করিছিলাম, রাহুল আমাকে কংগ্রেসে রাখার বিষয়ে সক্রিয় হবেন।’’

Advertisement

২০১৯-এর লোকসভা ভোটে গুণা কেন্দ্রে হেরে গিয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। পরে রাজ্যসভা ভোটে প্রার্থী হতে চাইলেও কংগ্রেস তাঁকে মনোনয়ন দেয়নি। গত বছর মার্চ মাসে জ্যোতিরাদিত্য তাঁর অনুগামী ২২ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপি-তে যোগ দেন। ফলে মধ্যপ্রদেশে কমল নাথের সরকারের পতন ঘটে। কিন্তু তাঁকে বিজেপি তাঁকে মধ্যপ্রদেশের নয়া সরকারে ঠাঁই দেয়নি। এর পর রাজ্যসভার সাংসদ করলেও কেন্দ্রে মন্ত্রিত্ব দেয়নি। বিজেপি-র কেন্দ্রীয় বা রাজ্যস্তরের সংগঠনে কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদও দেওয়া হয়নি জ্যোতিরাদিত্যকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement