ঝাড়গ্রামে বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে মিছিল শুভেন্দু অধিকারীর। নিজস্ব চিত্র।
শুধু নন্দীগ্রাম নয়, যেখানে দাঁড়াবেন সেখানেই হারবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মেদিনীপুরে এমনই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে জানালেন, ভোটে তাঁর জয় নিশ্চিত।
মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে বিজেপি প্রার্থীরা মিছিল করেন। মেদিনীপুরে সেই মিছিলে ছিলেন কৈলাস, দিলীপ। ঝাড়গ্রামে শুভেন্দু। মঙ্গলবারই নন্দীগ্রামে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি এই কেন্দ্রে লড়াই করবেন বিধানসভা নির্বাচনে।
মেদিনীপুরে বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার মিছিলে যোগ দিয়ে কৈলাস বলেন, ‘‘নন্দীগ্রাম আসনে ২০০ শতাংশ হারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুধু প্রতারণা করেছেন নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে। ১০ বছরে সেখানে কিছু করেননি। সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নে অনেক তৃণমূল কর্মী দল এসেছেন বিজেপি-তে।’’ কৈলাসের কাছে হয়েছিল, বিজেপি-র প্রথম প্রার্থী ঘোষণার পরেই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে দলের অন্দরে। তাঁর জবাব, ‘‘ও সব কিছু নয়। আমাদের দলের কর্মীরা আদর্শ মেনে চলেন।’’
দিলীপের মন্তব্য, ‘‘হারার ভয়ে ভবানীপুর থেকে পালিয়ে নন্দীগ্রাম গিয়েছেন মমতা। আর এবার নন্দীগ্রামে থেকে হেরে কালীঘাটের বাড়িতে যাবেন। রাজ্যে পরিবর্তন হবেই। তারপর মানুষের জন্য সোনার বাংলা গড়ার কাজে হাত লাগাবে বিজেপি।’’
যখন নন্দীগ্রামে মমতা যখন জনসভা করছেন, ঠিক সেই সময় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু ঝাড়গ্রাম জেলার বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে ঝাড়গ্রাম শহরে পদযাত্রা করছিলেন। শুভেন্দু বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে মাননীয়াকে হারাবই। ঝাড়গ্রাম বিজেপি-র শক্ত ঘাঁটি। ঝাড়গ্রামে দলের ৪ জন প্রার্থীই জিতবেন। এটা একশো শতাংশ নিশ্চিত। ঝাড়গ্রাম বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী সুখময় শতপথি, নয়াগ্রামের বকুল মুর্মু, গোপীবল্লভপুরের সঞ্জীব মাহাতো এবং বিনপুর বিধানসভার প্রার্থী পালম সরেন ঝাড়গ্রাম জেলাশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। শুভেন্দু বলেন, ‘‘বিজেপি প্রার্থীরা সবাই ঝাড়গ্রামের মানুষ। এখানে প্রতি আসনে হাফ লাখ ভোটে জিতবে বিজেপি।’’ তিনি ঝাড়গ্রামে একদিন অন্তর প্রচারে আসবেন বলেও জানিয়েছেন।