Karnataka Incident

কন্যাহারা কংগ্রেস কাউন্সিলরের বাড়িতে বিজেপির নড্ডা, সিদ্দারামাইয়াদের নিন্দা, চাইলেন সিবিআই

কর্নাটকের কংগ্রেস কাউন্সিলরের কন্যাকে কিছু দিন আগে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে তাঁর এক প্রাক্তন সহপাঠী কুপিয়ে খুন করেন। তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন জেপি নড্ডা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৫২
Share:

কংগ্রেস কাউন্সিলর নিরঞ্জন হিরেমথের বাড়িতে জেপি নড্ডা। ছবি: পিটিআই।

কর্নাটকে কংগ্রেস কাউন্সিলরের বাড়িতে গেলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। কন্যাহারা পিতাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন তিনি। পরিবারের বাকিদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের নিন্দা করেন নড্ডা। গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানান।

Advertisement

কর্নাটকের কংগ্রেস কাউন্সিলর নিরঞ্জন হিরেমথের কন্যা নেহাকে কিছু দিন আগে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে তাঁর এক প্রাক্তন সহপাঠী কুপিয়ে খুন করেন। এই ঘটনায় ‘লভ জিহাদ’-এর অভিযোগ তুলে প্রথম থেকেই সরব হয়েছে বিজেপি। কলেজের বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপিও দোষীর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ‘লভ জিহাদ’ তত্ত্বে সায় না দিয়ে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং জি পরমেশ্বর জানান, ওই তরুণীর সঙ্গে অভিযুক্তের আগে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হত্যা করা হয়েছে তরুণীকে। অর্থাৎ, ব্যক্তিগত কারণেই এই হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছে কর্নাটক কংগ্রেস।

এর মাঝে মৃতের বাবা তথা কংগ্রেস কাউন্সিলর নিরঞ্জন জানান, তাঁর কন্যার সঙ্গে অভিযুক্ত ফয়াজ়ের কোনও ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল না। তাঁরা দু’জন এক কলেজে পড়তেন মাত্র। এর পর নিরঞ্জনের গলাতেও ‘লভ জিহাদ’ তত্ত্বের কথা শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘‘দেশ জুড়ে ‘লভ জিহাদ’ যে ভাবে বেড়ে চলেছে, সব মায়েদের উচিত, তাঁদের মেয়েকে সামলে এবং সাবধানে রাখা।’’

Advertisement

এর পরেই নিরঞ্জনের বাড়িতে যান নড্ডা। পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি এই পরিবারটিকে সান্ত্বনা দিতে এসেছিলাম। এটা একটা মারাত্মক ঘটনা, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করছি। এই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তা আপত্তিকর। এতে তদন্তের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। এই ধরনের রাজনীতির জন্য কর্নাটকের মানুষ এই সরকারকে ক্ষমা করবে না।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘যদি কর্নাটক পুলিশ তদন্ত করতে সক্ষম না হয়, রাজ্য সরকারের উচিত সিবিআইয়ের হতে তদন্তভার তুলে দেওয়া। পুলিশের উপর আস্থা নেই মৃত তরুণীর বাবারও। তিনিও সিবিআই তদন্ত চান।’’

উল্লেখ্য, কলেজ ক্যাম্পাসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর সঙ্গে আগে তাঁর সম্পর্কও ছিল। পুলিশকে যুবক জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরে তরুণীর পিছু নিয়েছিলেন তিনি। খুনের ছক কষেছিলেন বেশ কিছু দিন ধরেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement