উপত্যকার পুলিশের হাতে সাংবাদিক নিগ্রহের এই দৃশ্য সামনে এসেছে। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
পুলওয়ামায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষের মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন চিত্রসাংবাদিকেরা। অভিযোগ, সেই সময়ে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের হাতে নিগৃহীত হন কামরান ইউসুফ এবং ফয়সল বশির নামে দুই চিত্রসাংবাদিক।
আজ সকালে মারওয়াল গ্রামে বাহিনীর অভিযানের সময়ে এই ঘটনা ঘটে। কামরান জানিয়েছেন, তিনি যখন ছবি তুলছিলেন, সেই সময়ে পুলিশ তাঁকে ফিরে যেতে বলে। কামরান জানান, তাঁর সহকর্মী চিত্রসাংবাদিকেরা যদি ফিরে যান, সে ক্ষেত্রে তিনিও পুলিশের নির্দেশ মেনে নেবেন। অভিযোগ, এর পরেই কয়েক জন পুলিশকর্মী কামরানকে মারধর করেন। শেষ পর্যন্ত কোনও মতে ঘটনাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন ওই চিত্রসাংবাদিক। কামরান বর্তমানে পায়ের আঘাত নিয়ে এসএইচএমএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কামরানকে পুলিশের মারধরের একটি ভিডিয়োও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে ফয়সল জানিয়েছেন, পুলিশি নির্দেশ মেনে তিনি ঘটনাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে আসছিলেন। সেই সময়ে তিনি কেন ছবি তুলেছেন— এই প্রশ্ন তুলে তাঁকে মারধর করে পুলিশ। লাঠির আঘাত নেমে আসে তাঁর ক্যামেরার উপরেও।পুলিশি নির্যাতনের নিন্দা করেছে কাশ্মীর এডিটর্স গিল্ড। পাশাপাশি সাংবাদিকদের নির্বিঘ্নে কাজের সুযোগ দেওয়ার দাবিও পুলিশের কাছে জানিয়েছে গিল্ড। সাংবাদিক নিগ্রহের তদন্তেরও দাবি জানানো হয়েছে। দ্য কাশ্মীর প্রেস ক্লাবের (কেপিসি) তরফেও সাংবাদিক হেনস্থার নিন্দা করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, কামরানের অভিযোগ থেকে স্পষ্ট, পেশাদার কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটাতেই সাংবাদিকদের নিশানা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত নিতিন গডকড়ী, টুইট করে জানালেন নিজেই
আরও পড়ুন: দিল্লি হিংসায় চার্জশিট পুলিশের, ১৫ জন অভিযুক্তের মধ্যে নেই উমর, শরজিলের নাম
কেপিসি-র তরফে জানানো হয়েছে, এই প্রথম বার নয়, অতীতেও সাংবাদিক হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে। আজকের ঘটনায় দোষী পুলিশকর্মীদের অবিলম্বে কড়া শাস্তির জন্য জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক এবং উপ-রাজ্যপাল মনোজ সিনহার কাছে আর্জি জানিয়েছে কেপিসি।