জোশীমঠের কোনও কোনও অংশ হিমালয়ের বুকে অন্তত ২ ফুট ডুবে গিয়েছে। ছবি: পিটিআই।
জোশীমঠের কোনও কোনও অংশ হিমালয়ের বুকে অন্তত ২ ফুট ডুবে গিয়েছে। ২.২ ফুট (৭০ সেন্টিমিটার) ডুবেছে কিছু কিছু এলাকা, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জোশীমঠে বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পর্যবেক্ষণের পর এই দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, ইসরোর তরফে সম্প্রতি জোশীমঠের একটি উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে দেখানো হয়েছিল, গত ১২ দিনে গাড়োয়াল হিমালয়ের বুকে এই শহর ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছে। তবে ইসরোর সেই রিপোর্ট তাদের ওয়েবসাইট থেকে আবার তুলেও নেওয়া হয়।
জোশীমঠের পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণের পর বিশেষজ্ঞরা যে মতামত জানিয়েছেন, তা নিয়ে এক আধিকারিক বলেন, ‘‘জোশীমঠের জয়পী কলোনি এলাকায় যে ব্যাডমিন্টন কোর্ট রয়েছে, সেই অংশটি অন্তত ৭০ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেই তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। গত ২ জানুয়ারি রাতের দিকে এই এলাকার মাটিতেই ছোটখাটো বিস্ফোরণ হয়ে অনেক অংশে ফাটল দেখা দিয়েছিল।’’
রঞ্জিৎ সিনহার নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের একটি দল গত ৫ এবং ৬ জানুয়ারি জোশীমঠের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। একটি রিপোর্টে তাঁরা জানিয়েছেন, ২ তারিখ রাতে জয়পী কলোনির মাটিতে যে বিস্ফোরণ হয়েছিল, তার ফলে ওই অংশে মাটির নীচে বেশ কিছুটা ফাঁপা অংশ তৈরি হয়ে থাকতে পারে। এই দুর্যোগ রোখা সম্ভব নয় বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা।
ভূতত্ত্ববিদ এসপি সাতি জানান, জোশীমঠের কোনও কোনও এলাকা ২ ফুট, কোনও কোনও এলাকা বেশ কয়েক ইঞ্চি বসে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সবথেকে বড় কথা, প্রত্যক্ষ ভাবে কোনও একটি বিষয় আচমকা এই ভূমি অবনমনকে ত্বরাণ্বিত করেছে বলে মনে হয়। তা রোধ করা না গেলে অবনমন বন্ধ করা সম্ভব নয়।’’