বাড়িতে ফাটল। — ফাইল চিত্র।
জোশীমঠের আতঙ্ক এখন হিমাচল প্রদেশেরর তিন গ্রামেও। মান্ডি জেলার সেরাজ উপত্যকার তিন গ্রাম ফাগু, নাগানি, থালাউতের বেশ কয়েকটি বাড়িতে দেখা দিয়েছে ফাটল। কয়েকটি বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়েরা এই ফাটলের জন্য কিরাতপুর-মানালি জাতীয় সড়কের নির্মাণকে দায়ী করেছেন। ২০১৮-১৯ সাল থেকে ওই সড়ক নির্মাণ শুরু হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, ২০২০ সাল থেকে বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। চার লেনের এই সড়ক তৈরির কাজ শেষ হবে ২০২০ সালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনটি গ্রামের ৩২টি বাড়ি এবং তিনটি মন্দিরে ফাটল দেখা দিয়েছে। কয়েকটি বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিনটি দল এসে পরিস্থিতি পরিদর্শন করে গিয়েছেন। পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদিও স্থানীয়দের আশঙ্কা কাটেনি। এক জন দাবি করেছেন, ‘‘ঘরছাড়া হলে ক্ষতিপূরণ দিয়ে কী করবেন।’’ গ্রামবাসীরা আরও জানিয়েছেন, বৃষ্টি হলে মনে মনে তাঁরা আতঙ্কে থাকেন। তাঁদের দাবি, সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যায়নি।
নাগানি গ্রামের বাসিন্দা সাইনা দেবী বলেন, ‘‘চার লেনের জাতীয় সড়ক নির্মাণ হচ্ছে বলে আমাদের বাড়িতে ফাটল ধরেছে। আমাদের পাঁচ সন্তান রয়েছে। তাঁদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া কঠিন।’’ এই প্রসঙ্গে সরকারি এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সমীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট এখনও আসেনি। মান্ডির অতিরিক্তি জেলাশাসক অশ্বিনী কুমার বলেন, ‘‘২০১৮-১৯ সাল থেকে বিপদ দেখা দিয়েছে। পাহাড় কাটার ফলে বাড়িতে ফাটল ধরেছে। ১০টি গ্রামে আমরা সমীক্ষা করেছি। বিজ্ঞানীরাও সমীক্ষা চালিয়েছেন। রিপোর্ট এখনও আসেনি।’’ গ্রামবাসীরা যদিও সরকারের থেকে সাহায্যের দাবিতে অনড়।