Joshimath Disaster

ছড়াচ্ছে ‘বিভ্রান্তি’! জোশীমঠ তলিয়ে যাওয়া নিয়ে ইসরোর রিপোর্ট উধাও ওয়েবসাইট থেকে

উপগ্রহচিত্র পর্যালোচনা করে ইসরো জানিয়েছিল, ২০২২ সালের এপ্রিল মাস থেকে প্রায় ৯ সেন্টিমিটার ডুবে গিয়েছে জোশীমঠ। গত ১২ দিনে এই ডুবে যাওয়ার গতি আরও বেড়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

দেহরাদূন শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:১১
Share:

জোশীমঠ তলিয়ে যাওয়া নিয়ে ইসরোর রিপোর্ট উধাও ওয়েবসাইট থেকে। ছবি: পিটিআই।

শুক্রবারের রিপোর্ট শনিবারই স্রেফ গায়েব হয়ে গেল সরকারি ওয়েবসাইট থেকে! জোশীমঠ যে ধারাবাহিক ভাবে পাহাড়ের কোলে হারিয়ে যাচ্ছে, তার ইঙ্গিত ছিল ওই রিপোর্টে। উপগ্রহচিত্রের মাধ্যমে এই রিপোর্ট তৈরি করেছিল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এবং ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার (এনএইচআরসি)। অথচ শনিবার এই রিপোর্টটি সরকারি ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়নি। এনএইচআরসি-র ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট অংশে ক্লিক করে দেখা গিয়েছে, ওই রিপোর্ট এবং উপগ্রহচিত্রটির কোনও অস্তিত্বই নেই।

Advertisement

ইসরোর তরফে প্রকাশিত জোশীমঠের উপগ্রহচিত্র। ছবি: সংগৃহীত।

উপগ্রহচিত্র পর্যালোচনা করে ইসরো জানিয়েছিল, ২০২২ সালের এপ্রিল মাস থেকে প্রায় ৯ সেন্টিমিটার ডুবে গিয়েছে জোশীমঠ। গত ১২ দিনে এই ডুবে যাওয়ার গতি আরও বেড়েছে। এই কয়েক দিনে ৫ সেন্টিমিটার ডুবেছে জোশীমঠ। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জোশীমঠ শহরের মধ্যবর্তী অংশ। তুলনায় পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোয় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম।

Advertisement

ইসরোর এই রিপোর্টের ভিত্তিতে গত শুক্রবারও বিপর্যয়গ্রস্ত এলাকাগুলি থেকে জোশীমঠের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে এসেছে উত্তরাখণ্ড জেলা এসেছে। রিপোর্ট উধাও হওয়া নিয়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে প্রকাশ্য কোনও মন্তব্য করবে না। তবে তাদের তরফে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির তরফে প্রকাশিত রিপোর্টকে সমাজমাধ্যমে অনেক রকম ভাবে ব্যাখ্যা করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তোলা হয় বলেও জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। জনমানসে বিভ্রান্তি এড়াতেই এই ধরনের রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলা হয়।

উত্তরাখণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী ধান সিংহ রাওয়াত সংবাদমাধ্যকে জানিয়েছেন, ইসরোর রিপোর্টে কোনও সরকারি বিবৃতি ছিল না। তিনি এ বিষয়ে ইসরো প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন। ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ই আপাতত রিপোর্টটিকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement