বাটখারা, লোহার পাত বেঁধে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত।
উরুতে শক্ত করে বাটখারা বেঁধেছেন কেউ। কেউ আবার অন্তর্বাসের নীচে পাথর বেঁধে রেখেছেন। আর সেই অবস্থাতেই চাকরির জন্য শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় হাজির হচ্ছেন। কর্নাটকে এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
কর্নাটকের পরিবহণ দফতরের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের শারীরিক পরীক্ষা চলছে। সেই পরীক্ষাতেই এমন দৃশ্য ধরা পড়েছে। কেন এমনটা করছেন চাকরিপ্রার্থীরা? কারণটাও খুব চমকপ্রদ। স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিবহণ দফতরের এই পরীক্ষার জন্য চাকরিপ্রার্থীদের শরীরের ওজন ৫৫ কেজি হতে হবে। অনেকেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু এমন অনেক চাকরিপ্রার্থী ছিলেন, যাঁদের ওজন ৫৫ কেজির কম। কিন্তু শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য নিজেদের ওজন বাড়াতে অভিনব পন্থা নিয়েছিলেন।
পরীক্ষার নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাঁরা পোশাক এবং অন্তর্বাসের নীচে ৫-১০ কেজি ওজনের বাটখারা এমনকি পাথর বেঁধে ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরীক্ষকদের নজরে পড়ে যান কয়েক জন। তাঁদের শারীরিক গঠন আর ওজনের ফারাক দেখে পরীক্ষকদের সন্দেহ হওয়ায় ওই চাকরিপ্রার্থীদের শরীর পরীক্ষা করে দেখতেই স্তম্ভিত হয়ে যান তাঁরা। পরীক্ষকরা দেখেন, চাকরির নিয়মকে লঙ্ঘন করে আট জন চাকরিপ্রার্থী লোহার পাত এবং পাথর বেঁধে নিজেদের ওজন বাড়িয়েছেন। এর পরই তাঁদের আটক করা হয়।