JNU

জেএনইউ: স্টিং অপারেশনের জের, এবিভিপি-র দুই সদস্যকে ডেকে পাঠাল পুলিশ

গোপনে চালানো স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো সামনে এনেছে একটি সর্বভাবরতীয় সংবাদমাধ্যম।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২০ ১৮:১৩
Share:

স্টিং অপারেশন চলাকালীন অক্ষত অবস্থি। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখতে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) সদস্য অক্ষত অবস্থিকে ডেকে পাঠাল দিল্লি পুলিশ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের স্টিং অপারেশনে সম্প্রতি ক্যাম্পাসে হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেন অক্ষত। সেই ভিডিয়ো সামনে আসতেই দিল্লি পুলিশের তরফে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়।

Advertisement

৫ জানুয়ারি জেএনইউ ক্যাম্পাসে মুখোশধারীদের হামলার ঘটনায় শুরুতে মূলত বামপন্থী পড়ুয়াদের কাঠগড়ায় তুললেও, হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ চালাচালির অভিযোগ খতিয়ে দেখে রবিবার ৩৭ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে দিল্লি পুলিশ। তাতে বামপন্থী পড়ুয়াদের পাশাপাশি, নাম উঠে এসেছে জনা কয়েক এবিভিপি সদস্যেরও।

স্টিং অপারেশনের এই ভিডিয়োই সামনে এসেছে।

Advertisement

তবে এ নিয়েও অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের পালা চলছে। পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করছে বলে অভিযোগ জেএনইউয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। এই আবহেই গোপনে চালানো স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো সামনে এনেছে একটি সর্বভাবরতীয় সংবাদমাধ্যম। তাতে ক্যামেরার সামনে হামলার কথা স্বীকার করতে দেখা যায় অক্ষত অবস্থি এবং রোহিত শাহকে। অক্ষত এবং রোহিত জানান, তাঁরা দু’জনই এবিভিপি-র সদস্য।

স্টিং অপারেশনে অক্ষত জানান, দুপুরে পেরিয়ার হস্টেলে বামপন্থী সংগঠনের ছেলেমেয়েরা ভাঙচুর চালান। তার জবাবেই সন্ধ্যায় জনা কুড়ি লোকজন নিয়ে সাবরমতী হস্টেলে চড়াও হন তাঁরা। ভাঙচুর চালান। এবিভিপি-র যদিও ওই দু’জনের থেকে ইতিমধ্যেই দূরত্ব তৈরি করেছে। অক্ষত এবং রোহিত দলের সদস্যই নন বলেও দাবি করেছে তারা। তবে স্টিং অপারেশনের ওই ভিডিয়ো দেখেই অক্ষতকে তদন্তে যোগ দিতে বলেছে দিল্লি পুলিশ। তদন্তে যোগ দিতে বলা হয়েছে রোহিতকেও।

তবে থানায় যেতে রাজি হলেও, অক্ষত তদন্তে সহায়তা করতে চান না বলেই জানাচ্ছে পুলিশের একটি সূত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement