Jharkhand

‘যা শুনেছ, ঠিক সেই অত্যাচারই হয়েছে’, ‘ম্যাডাম’-এর গ্রেফতারির পর বললেন আদিবাসী পরিচারিকা

কী ভাবে অত্যাচার করা হত? ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্রের গ্রেফতারির পর মুখ খুললেন তাঁর হাতে অত্যাচারিত সেই আদিবাসী পরিচারিকা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রাঁচী শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২২ ১৫:৩৬
Share:

সুনীতা (বাঁ দিকে) এবং বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্র (ডান দিকে)। ছবি: টুইটার।

কাজ করতে করতে ছোট কোনও ভুল হলেই ‘ম্যাডাম’-এর হাতে মার জুটত। ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্রের গ্রেফতারির পর এমনটাই জানালেন তাঁর হাতে অত্যাচারিত সেই আদিবাসী পরিচারিকা সুনীতা। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘‘আমি কাজ করতে গিয়ে ভুল করলেই ম্যাডাম যখন-তখন আমাকে মারধর করতেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার গলার সমস্যা রয়েছে, তাই বেশি কথা বলতে পারছি না। কিন্তু তোমরা যা শুনেছ, আমার সঙ্গে ঠিক তাই হয়েছে।’’

Advertisement

বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। গ্রেফতারির ভয়ে রাঁচী ছেড়ে পালানোর সময় বুধবার ভোরে তাঁকে গ্রেফতার করে রাঁচী পুলিশ। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

‘ভয়েস অব দলিতস’ নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর সীমার বিরুদ্ধে পরিচারিকাকে অত্যাচারের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সুনীতা কিছু একটা বলার চেষ্টা করছেন। চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। দেখেও অসুস্থ বলেই মনে হচ্ছে। ভিডিয়োতে আরও দেখা গিয়েছে, ওই মহিলার সামনের দাঁত ভাঙা। শরীরেও আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে।

Advertisement

গত আট বছর ধরে সীমার বাড়ির গৃহস্থালির কাজ করতেন সুনীতা। অভিযোগ, আট বছর ধরেই সুনীতার উপর অকথ্য অত্যাচার চালাতেন তিনি। এমনকি, জোর করে সুনীতাকে প্রস্রাব খাওয়ানো এবং গরম লোহার রড দিয়ে শারীরিক অত্যাচার করার অভিযোগও আনা হয় সীমার বিরুদ্ধে।

সীমার স্বামী মহেশ্বর পাত্র এক জন প্রাক্তন আইএএস কর্তা। ঘটনাচক্রে সীমা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদীর ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পের অন্যতম আহ্বায়কও ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement