এক বার পরীক্ষা দিয়ে ফল হয়েছিল ৯৯.৯৭ পার্সেন্টাইল। খুশি হতে পারেননি দিল্লির কাব্য চোপড়া। আবার পরীক্ষা দিলেন। কারণ তিনি চেয়েছিলেন ৯৯.৯৮ পার্সেন্টাইল।
দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় নিজের স্বপ্নকেও ছাপিয়ে গেলেন এই মেধাবী। এ বার পরীক্ষা দিয়ে পেলেন ৩০০-এ ৩০০। জেইই মেইন ২০২১ পরীক্ষায় নজির স্থাপন করেছেন কাব্য।
কাব্যর বাবা দিল্লির ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর কাছ থেকেই এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কাব্য। জেইই মেইন-এর জন্য তিনি রোজ ৭-৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছেন। প্রস্তুতির শেষ পর্বে জোর দিয়েছিলেন রসায়নশাস্ত্রের উপরে।
ফেব্রুয়ারিতে একবার জেইই মেইন দিয়েছিলেন কাব্য। সে বার তাঁর ‘আশানুরূপ’ ফল না হওয়ার কারণ রসায়নে কিছুটা পিছিয়ে থাকা। তাই দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় নিজের প্রস্তুতির কোনও খামতি রাখতে চাননি তিনি।
এই সপ্তদশী জানিয়েছেন, তাঁর প্রস্তুতি ছিল মূলত এনসিইআরটি-র বই এবং পুরনো প্রশ্নপত্র নির্ভর।
দীর্ঘ লকডাউনে বার বার মনোবল ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু কাব্য হার মানেননি। দৃঢ় সঙ্কল্প ছিল, তাঁকে সফল হতেই হবে।
কাব্য অবশ্য বরাবরই মেধাবী। দশম শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষায় তিনি ৯৭.৬ পার্সেন্টাইল পেয়েছিলেন। মে মাসে বসবেন দশম শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষায়। সেই মাসেই জেইই মেইন-এর দ্য অল ইন্ডিয়া র্যাঙ্ক প্রকাশিত করবে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ।
৬ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী নিজের নাম নথিভুক্ত করেছিলেন জেইই মেইন পরীক্ষার জন্য। মার্চের পরীক্ষায় ১৩ জন পরীক্ষার্থী ১০০ পার্সেন্টাইল পেয়েছেন। ফেব্রুয়ারির পরীক্ষায় এই সংখ্যা ছিল ৯।
পরীক্ষার্থিনীদের মধ্যে কাব্যই প্রথম জেইই মেইন-এ ৩০০-র মধ্যে ৩০০ পেতে সফল হয়েছেন।
তবে এখানেই থেমে যেতে চান না তিনি। জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষায় সফল হয়ে তিনি বম্বে আইআইটি-তে পড়তে চান কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে।
মহিলা হিসেবে যে কোনও ক্ষেত্রেই সাফল্যের চূড়ান্ত ধাপে পা রাখা কঠিন, সে কথা স্বীকার করেন কাব্য। তবে ব্যক্তিগত জীবনে বাবা মায়ের কাছে তিনি কোনও দিন লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হননি বলে জানিয়েছেন কাব্য। ভাইয়ের সঙ্গেও তাঁকে সমানভাবেই বড় করা হয়েছে।
কাব্যর ইচ্ছে, আগামী দিনে মেয়েরা আরও বেশি করে বিজ্ঞান শাখায় পড়াশোনা করুক। তাঁর মতো আরও অনেককে জেইই মেইন পরীক্ষায় ১০০ পার্সেন্টাইল স্কোর করতে দেখতে চান এই প্রথমা। (ছবি: নেটমাধ্যম ও শাটারস্টক)