জগন্মোহন রেড্ডি, চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং পবন কল্যাণ। — ফাইল চিত্র।
তামিল চিত্রতারকা রজনীকান্তের পরে এ বার সমর্থন মিলল তেলুগু অভিনেতা-রাজনীতিক পবন কল্যাণের। দুর্নীতি মামলায় ধৃত অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র প্রধান এন চন্দ্রবাবু নায়ডুর প্রতি সমর্থন জানিয়ে জনসেনা পার্টির প্রধান পবন বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘আগামী নির্বাচনে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়ব।’’
অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে হারানোর জন্য টিডিপির সঙ্গে জনসেনা আসন সমঝোতা করবে বলে ঘোষণা করেন পবন। বলেন, ‘‘ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়ে আমরা জগন্মোহনের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটাব।’’ ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের সঙ্গেই অন্ধ্রে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। টিডিপি-জনসেনা হাত মেলালে জগনের দল বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
চন্দ্রবাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সে রাজ্যের সরকারি সংস্থা ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’-এর প্রায় ৩৭১ কোটি টাকার তহবিল নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের। গত ৮ সেপ্টেম্বর ওই মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সে রাজ্যের সিআইডি। আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে টিডিপি প্রধানকে ১৪ দিনের জন্য রাজমুন্দ্রি জেলে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে রজনীকান্ত ফোনে চন্দ্রবাবুর প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই ‘বার্তা’ এল পবনের তরফে। তিনি বৃহস্পতিবার বললেন, ‘‘চন্দ্রবাবু এবং তাঁর ছেলে নারা লোকেশের গ্রেফতারির ঘটনা, জগন্মোহনের প্রতিহিংসার রাজনীতির প্রমাণ।’’
পবনের দাদা চিরঞ্জীবীও তেলুগু চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা। ২০০৯-এ ভোটের ঠিক আগে নিজের দল প্রজারাজ্যম পার্টি গড়ে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। পরে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হন। তবে দাদার সঙ্গে প্রজারাজ্যম পার্টির প্রচার করলেও পবন কখনও কংগ্রেসে যোগ দেননি। ২০১৯-এ বিধানসভা ভোটের আগে জনসেনা গড়ে আলাদা ভাবে লড়েছিলেন। কিন্তু দু’টি কেন্দ্রে লড়েও বিধায়ক হতে পারেননি। ১৭৫ আসনের অন্ধ্র বিধানসভায় মাত্র একটিতে জেতে তাঁর দল। তবে টিডিপির সঙ্গে হাত মেলালে পবন তেলুগু রাজনীতির অনেক সমীকরণ বদলে দিতে পারেন বলে তাঁর অনুগামীদের দাবি।