অযোধ্যার রামমন্দির। — ফাইল চিত্র।
২২ জানুয়ারি, রামলালার বিগ্রহের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ উপলক্ষে এ বার অর্ধ দিবস ছুটি ঘোষণা করল জম্মু ও কাশ্মীরের লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর পরিচালিত প্রশাসন। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সব দফতর, স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকবে ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে ঝাড়খণ্ড সরকারও। সেখানে অর্ধদিবস বন্ধ থাকবে রাজ্য সরকারের সব দফতর। আর সরকারি স্কুল বন্ধ থাকবে পুরো দিন, নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
ইতিমধ্যে ওই দিন পুরো বা অর্ধ দিবস ছুটি ঘোষণা করেছে বেশ কিছু রাজ্য। কর্মীদের অর্ধদিবস ছুটি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অযোধ্যার মন্দিরে বিগ্রহের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’-র সম্প্রচার দেখার জন্য ওই ছুটি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, সমস্ত সরকারি ব্যাঙ্ক, অর্থনৈতিক কেন্দ্র, গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, বিমা দফতর দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। দিল্লির এমসও অর্ধদিবস বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। চালু রাখার কথা ছিল আপৎকালীন চিকিৎসা পরিষেবা। পরে সমালোচনার মুখে পড়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে দেন, আউটডোর বিভাগও খোলা থাকবে।
বিজেপিশাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্যের সরকারি দফতরে ২২ জানুয়ারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। রামের বিগ্রহের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ উপলক্ষে সেই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, গোয়ার বিজেপিশাসিত সরকারও সে দিন সমস্ত সরকারি দফতরে অর্ধদিবস ছুটি দিয়েছে। দুপুর ২টো পর্যন্ত সরকারি দফতরে বন্ধ থাকবে কাজকর্ম। সিকিমেও অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ ওই দিন রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করেছেন। কংগ্রেসশাসিত হিমাচল প্রদেশেও সোমবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশে রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র দিন মদের দোকানও বন্ধ থাকবে। উত্তরাখণ্ড, ছত্তীসগঢ়, অসম, হরিয়ানাতেও প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন মদের দোকান বন্ধ থাকছে। গোয়ায় সমস্ত স্কুল এবং সরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতেও ওই দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে সব সরকারি দফতর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সে দিন ছুটি থাকবে। ২২ জানুয়ারি দ্বীপরাষ্ট্র মরিশাসেও হিন্দু সরকারি কর্মীদের দু’ঘণ্টা ছুটি দিয়েছে সে দেশের সরকার। দু’ঘণ্টা অফিসের বাইরে বেরিয়ে প্রার্থনায় যোগ দিতে পারেন তাঁরা।