সেজে উঠেছে অযোধ্যার রামমন্দির। ছবি: সংগৃহীত।
রামমন্দির উদ্বোধনের দিন ছুটি ঘোষণার ক্ষেত্রে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির পথেই হাঁটল কংগ্রেসশাসিত হিমাচল প্রদেশ। রবিবার একটি বিবৃতি দিয়ে হিমাচলের মুখ্যসচিবের তরফে জানানো হয়, “অযোধ্যায় রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ উপলক্ষে পূর্ণদিবস ছুটি ঘোষণা করছে হিমাচল প্রদেশ সরকার।” সরকার ছুটি ঘোষণার ফলে আগামী সোমবার হিমাচলের সমস্ত সরকারি এবং সরকার পোষিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছুটি ঘোষণার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের যে বিশেষ অধিকার রয়েছে, তারও প্রয়োগ করেছে হিমাচল সরকার। ফলে বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা এবং চুক্তিভিত্তিক কাজ করা কর্মীরাও এই ছুটির আওতায় আসবেন। প্রসঙ্গত, হিমাচলই প্রথম কংগ্রেসশাসিত কোনও রাজ্য, যে খানে রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিন ছুটি ঘোষণা করা হল। অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মধ্যে কেবল ওড়িশা সোমবার অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করেছিল। হিমাচলের রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাজীব বিন্দল শুক্রবারই হিমাচল সরকারকে ছুটি ঘোষণা করার আর্জি জানিয়েছিলেন।
এর আগে সারা দেশের কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরে রামলালার বিগ্রহের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার দেখার জন্যই সেই ছুটি বলে জানা গিয়েছে। একই পথে হেঁটেছে বিজেপিশাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্যও। মহারাষ্ট্র, রাজস্থানে সে দিন সমস্ত সরকারি দফতরে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। দুপুর ২টো পর্যন্ত সরকারি দফতরে বন্ধ থাকবে কাজকর্ম। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ওই দিন রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করেছেন। উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশে রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র দিন মদের দোকানও বন্ধ থাকবে। উত্তরাখণ্ড, ছত্তীসগঢ়, অসম, হরিয়ানাতেও ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র দিন মদের দোকান বন্ধ থাকছে। গোয়ায় সমস্ত স্কুল এবং সরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতেও ওই দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে সব সরকারি দফতর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সে দিন ছুটি থাকবে। সিকিমেও বন্ধ থাকবে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ দফতর, স্কুল, কলেজ। সোমবার দিল্লি সরকারের অধীনস্থ সমস্ত দফতরেও দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত ছুটি থাকবে।