প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এক সময় নিয়ম করে জম্মু ও কাশ্মীরে ভোট বয়কটের ডাক দিত তারা। জম্মু ও কাশ্মীরের সেই নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত-ই-ইসলামি এ বার শামিল হতে চায় মূল ধারার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়! জম্মু ও কাশ্মীরের কট্টরপন্থী সংগঠনটির প্রধান ফয়াজ হামিদ চলতি সপ্তাহে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় এমনই প্রস্তাব দিয়েছেন বলে বুধবার প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি করা হয়েছে।
জামাতের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক মঞ্চ ‘শুরা’তেই ইতিমধ্যেই এই মর্মে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। ওই প্রস্তাবে বল হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেই তারা জম্মু ও কাশ্মীরের আসন্ন বিধানসভা ভোটে অংশ নেবে। প্রসঙ্গত, দু’মাস আগেই জামাতের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের তরফে এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। সংগঠনের অন্যতম শীর্ষ নেতা গুলাম কাদির ওয়ানি পুলওয়ামায় সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, তিনি নিজে লোকসভা নির্বাচনে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন।
‘ভারতবিরোধী কার্যকলাপে’ জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানাতেই নিষিদ্ধ হয়েছিল জামাত। ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ তকমা প্রত্যাহার ও অনুচ্ছেদ ৩৭০ রদের সময়ে সংগঠনটিকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ জানিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দেওয়া থেকে শুরু করে হিংসা ছড়ানো, জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, এমন একাধিক অভিযোগ রয়েছে জামাতের বিরুদ্ধে। রয়েছে পাক যোগাযোগের অভিযোগও। বস্তুত, আশির দশকে পাকিস্তানের জামাত-ই-ইসলামির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা আবু আল মাওদুদি ওই সংগঠনের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাদের ‘রাজনৈতিক দল’ হিসেবে লড়তে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাই মোদী সরকারের অন্দরে দ্বিধা রয়েছে বলে প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি।