বৈঠকে প্রদীপ মজুমদার, বেচারাম মান্না। শনিবার শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে। ছবি: বিনোদ দাস।
কেন্দ্রীয় সরকার এ রাজ্যে আবাস যোজনার প্রকল্পের বরাদ্দ বন্ধ করেছে। রাজ্য সরকার উপভোক্তাদের আবাস প্রকল্পের সুবিধা দিতে প্রথম কিস্তির বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু দার্জিলিং এবং কালিম্পং পাহাড়ে রাজ্যের সেই সুবিধা পৌঁছয়নি। এ বার পাহাড়েও সেই সুবিধা দিতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগের কথা জানালেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। শনিবার শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে শিলিগুড়ি, দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের আধিকারিকদের নিয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী বৈঠক করেন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য বেচারাম মান্নাও। প্রশাসন সূত্রে খবর, সেখানেই পঞ্চায়েতমন্ত্রী পাহাড়ে আবাস প্রকল্পের সুবিধা দিতে রাজ্যের ভাবনার কথা জানান। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পাহাড়ের পঞ্চায়েতগুলিতে ভাল কাজ হচ্ছে। নির্বাচনের জন্য আমাদের কাজের গতি নির্ধারণ হয় না। সারা বছর কাজ হয়। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে পঞ্চায়েতগুলি ঘুরে কাজ দেখছি। কিছু খামতি থাকলে সমাধানের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’’ জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বৈঠকে পাহাড়ের আবাস প্রসঙ্গ উঠেছিল। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।’’ গ্রাম উন্নয়ন দফতরের (সিএডিসি) শিলিগুড়ি নকশালবাড়ি প্রকল্প ঘুরে দেখলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী। শনিবার তিনি নকশালবাড়ির সাতভাইয়া এলাকার ফার্মে যান।
প্রশাসন সূত্রে খবর, আবাস প্রকল্পে নতুন সমীক্ষার পরেই উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি করা হবে। সেই প্রক্রিয়ার কথা পঞ্চায়েত দফতরের সচিব জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পের সুবিধা না দিলেও রাজ্যের তরফেই সমীক্ষা করে সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। পঞ্চায়েত দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আবাস প্রকল্পের সমীক্ষার সময় পাহাড়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। সেই কারণে প্রশাসনের তরফে সমীক্ষা সম্ভব হয়নি। ফলে রাজ্যের আবাস প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পাহাড়ের মানুষ। জিটিএর তরফ থেকেও বিষয়টি রাজ্যের কাছে জানানোর পরে প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা হয়। এবার তা বাস্তবায়নের পথে রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এ দিনের বৈঠকে পাহাড় ও সমতলের পঞ্চায়েত প্রধান, নির্মাণ সহায়কদের সঙ্গে মহকুমা পরিষদের আধিকারিকেরাও ছিলেন। পঞ্চায়েতগুলির কাজের অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়। জায়ান্ট স্ক্রিনে কিছু বিশেষ ভাল কাজের বিষয় তুলে ধরেছেন আধিকারিকেরা। অন্য পঞ্চায়েতগুলিকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যেই সে সব দেখানো হয়েছে বলে দাবি। সমতলের পঞ্চায়েতগুলিতে কাজের অগ্রগতির বিষয়ে জোর দিতে বলা হয়েছে। তবে মহকুমা পরিষদের কাজের গতি কিছুটা পিছিয়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। সে জন্য আরও জোর দিতে বলা হয়েছ বলে দাবি।
অভিযোগ, পরিষদে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের কাজ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। সভাধিপতি অরুণ ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা রাজ্যে প্রথম পাঁচটি জেলার মধ্যে রয়েছি। মন্ত্রী কাজের প্রশংসা করেছেন। যদি কোনও সমস্যা থাকে সমাধানের চেষ্টা হবে।’’ পরিষদের বিরোধী দলনেতা, বিজেপির অজয় ওরাওঁয়ের অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েতগুলিতে যে কাজ পিছিয়ে মন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট। সে জন্য ভোটের আগে কাজের গতি বৃদ্ধি করতে তাড়া দিয়েছেন তিনি।’’
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে