হামাস এবং ফাতা-র প্রতিনিধির মাঝে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। ছবি: সংগৃহীত।
গাজ়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই চিনের মধ্যস্থতায় সমঝোতার পথে হাঁটল যুযুধান দুই প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাস এবং ফাতা। বেজিংয়ের তিন দিনের আলোচনায় পরে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইর উপস্থিতিতে গাজ়ায় প্রশাসনিক ঐক্য গড়ে তুলতে দু’গোষ্ঠীর সমঝোতা সই হয়েছে।
আশির দশকে প্রয়াত প্যালেস্টাইনি নেতা ইয়াসের আরাফতের সংগঠন ‘প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন’ এবং তার রাজনৈতিক শাখা ফাতার বিরোধিতা করেই উত্থান হয়েছিল হামাসের। পরবর্তী সময়ে ফাতার থেকে গাজ়া ভূখণ্ডের দখল ছিনিয়ে নিয়েছিল তারা। বর্তমানে পশ্চিম এশিয়া প্যালেস্টাইনিদের আর এক বসতি ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক রয়েছে ফাতার নিয়ন্ত্রণে। ‘জাতীয় অন্তর্বর্তী পুনর্মিলন সরকার’ শীর্ষক ওই সমঝোতায় মোট ১২টি প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী সই করেছে বলে চিনা বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে।
হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিন একদা মিশরের শাসকদল মুসলিম ব্রাদারহুডের মদতপুষ্ট সংগঠন ‘ইমান-উল-মুসলিমিন প্যালেস্তাইন’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আরাফতের সংগঠন ‘ফাতা’-সহ বিভিন্ন প্যালেস্তিনীয় গোষ্ঠী নিয়ে গঠিত পিএলও-র সঙ্গে যার সম্পর্ক ছিল ‘অম্লমধুর’। পরবর্তী সময় একাধিক বার ফাতা এবং হামাসের রক্তক্ষয়ী সংঘাত দেখেছে পশ্চিম এশিয়া। মঙ্গলবারে ঐক্য প্রক্রিয়া ইজ়রায়েলের চিন্তা বাড়ানোর পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়ায় বেজিংয়ের প্রভাব আরও বাড়াবে বলে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত।