Jagdeep Dhankhar

‘সনাতন হিন্দু’তে অনীহা, ক্ষুব্ধ ধনখড়

আজকের আলোচনায় উঠে এসেছে অধিবেশন চলাকালীন সংসদে নিয়মিত হইহট্টগোল এবং বিক্ষোভ-প্রতিবাদের প্রসঙ্গও। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে ধনখড়ের উপলব্ধি, সাংসদেরা যদি বেদান্ত পড়েন, তা হলে তাঁরা অনেক ভাল শ্রোতা হতে পারবেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:৪৫
Share:

জগদীপ ধনখড়। —ফাইল চিত্র।

‘সনাতন’ বা ‘হিন্দু’র মতো শব্দের প্রসঙ্গ উঠলে এ দেশের এক শ্রেণির মানুষ এমন বিস্ময়কর প্রতিক্রিয়া দেন, যা তিনি কখনওই বুঝে উঠতে পারেন না। এক বক্তৃতায় এমন মন্তব্যই করলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। তিনি মনে করেন, যাঁরা এই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেন, তাঁরা আসলে বিপথে চালিত, বিভ্রান্ত ভারতীয়। আজ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) বেদান্তের উপরে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখার জন্য ধনখড়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই বক্তৃতাতেই এ বিষয়ে নিজের ক্ষোভ জানান উপরাষ্ট্রপতি।

Advertisement

জেএনইউয়ের ওই অনুষ্ঠানে ধনখড় জানিয়েছেন, এ দেশের অনেক মানুষই ‘সনাতন’ বা ‘হিন্দু’— ধরনের শব্দবন্ধ শোনার সঙ্গে সঙ্গে বিচিত্র রকমের প্রতিক্রিয়া দেন। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের শব্দের আসল গভীরতা না বুঝেই প্রতিক্রিয়া জানানোটা এ দেশে এখন চল হয়ে গিয়েছে। আসলে যাঁরা নিজেরাই মন থেকে বিভ্রান্ত, বিপথে চালিত, তাঁরাই এই ধরনের কাজ করে থাকেন।’’ উপরাষ্ট্রপতির আরও বক্তব্য, এই ধরনের প্রতিক্রিয়াশীল মানুষ অত্যন্ত বিপজ্জনক এক বাস্তুতন্ত্রে বাস করেন। গোটা সমাজ তো বটেই, নিজেদের জন্যও এঁরা সমান ক্ষতিকর। ধনখড় তাঁর বক্তৃতায় আরও বলেছেন, ‘‘গোটা বিশ্ব যখন বেদান্ত দর্শনকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত, তখন আমাদের এই আধ্যাত্মবাদের দেশেই কিছু সংখ্যক মানুষ তা গ্রহণ করতে চান না।’’ যাঁরা বেদান্তের বিরোধিতা করেন, তাঁদের বিকৃত মনস্ক আখ্যা দিয়েছেন ধনখড়। ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে এই শ্রেণির মানুষ এখনও বেরোতে পারেননি বলেও ক্ষোভ তাঁর।

আজকের আলোচনায় উঠে এসেছে অধিবেশন চলাকালীন সংসদে নিয়মিত হইহট্টগোল এবং বিক্ষোভ-প্রতিবাদের প্রসঙ্গও। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে ধনখড়ের উপলব্ধি, সাংসদেরা যদি বেদান্ত পড়েন, তা হলে তাঁরা অনেক ভাল শ্রোতা হতে পারবেন। পাশাপাশি তিনি এ-ও জানিয়েছেন, সুষ্ঠু ভাবে সংসদ চালানোর জন্য নিজস্ব মত প্রকাশের পাশাপাশি আলোচনার উপরেও জোর দিতে হবে। এ নিয়ে পরোক্ষে মূলত বিরোধী সাংসদদের দিকেই আঙুল তুলেছেন ধনখড়। তাঁর মন্তব্য, ‘‘কারও যদি স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার থাকে, তা হলে তাঁকে আলোচনায় বসতেও রাজি হতে হবে। এই দু’টো জিনিস সব সময় একে অপরের হাত ধরে চলে। কোনও বিষয়ে আলোচনায় প্রস্তুত না থেকে তা নিয়ে শুধু ক্ষোভ জানালে তাতে আদৌ সমস্যার সমাধান হয় না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement