ছবি: পিটিআই।
মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে বিজেপি-শিবসেনার দ্বন্দ্ব মেটার কোনও লক্ষণ নেই। বরং পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে।
শিবসেনা যখন মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিতে অনড়, তখন দেবেন্দ্র ফডণবীসকে দ্বিতীয় বার কুর্সিতে বসানোর লক্ষ্যে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে জাঁকজমক করে শপথের আয়োজন শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত আজ জানিয়েছেন, তাঁরা বিজেপিকে ছাড়াই সরকার গড়তে পারেন। নাম না-করে বিজেপির উদ্দেশে তাঁর টুইটবার্তা, ‘‘এত ঔদ্ধত্য দেখাবেন না... কালের সমুদ্রে অনেক রথী-মহারথী তলিয়ে গিয়েছেন।’’ সূত্রের খবর, গত কাল রাতে টেলিফোনে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে কথা বলেছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। যা বিজেপিকে বাদ দিয়ে শিবসেনার সরকার গঠনের চেষ্টার জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়েছে।
যদিও পওয়ার জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে উদ্ধবের কোনও কথা হয়নি। এমনকি, শিবসেনা সরকার গঠন নিয়ে কোনও প্রস্তাবও দেয়নি।
মহারাষ্ট্রে বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ৮ নভেম্বর। তার আগে মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না-পারলে পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে মোড় নিতে পারে বলে আশঙ্কা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুধীর মুনগন্টীওয়ারের। তাঁর কথায়, ‘‘মহারাষ্ট্রবাসী কোনও নির্দিষ্ট দলকে ভোট দেননি। ভোট দিয়েছেন বিজেপি-শিবসেনা জোটকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকার গঠন করতে না-পারলে, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে।’’
ভোটের ফলপ্রকাশের আট দিন পরেও মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি বিজেপি-সেনা নেতৃত্ব। উদ্ধব প্রথম থেকেই দাবি করছেন, মুখ্যমন্ত্রিত্ব আড়াই বছর করে ভাগ করতে হবে। কিন্তু বিজেপি নারাজ। রাজ্যসভার শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় আজ বলেন, ‘‘শিবসেনা যদি মনে করে তা হলে স্থায়ী সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করতে পারে। মহারাষ্ট্রের মানুষ ৫০-৫০ ফর্মুলার ভিত্তিতে জনাদেশ দিয়েছেন। তাঁরা চান, মুখ্যমন্ত্রী হোক শিবসেনা থেকেই।’’ একই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘বিজেপিকে কোনও চরমসীমা দিচ্ছি না। কারণ, ওরা তো বড় বড় লোক।’’
সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে কথা বলতে দিল্লি যাবেন মরাঠা স্ট্রংম্যান। পওয়ারের সঙ্গে গত কাল দেখা করেন সঞ্জয়। আজ সন্ধেয় দিল্লিতে মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সনিয়া।