দেশের ২৩টি এমসের নাম বদল করতে চায় কেন্দ্র। ফাইল চিত্র।
দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)-এর নাম বদলাতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। এ নিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব পেয়েই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যকে চিঠি দিলেন দিল্লি এমস কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, নাম বদল করলে পরিচিতি হারাতে পারে প্রাচীন এই প্রতিষ্ঠান।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এমসের নাম বদলের প্রস্তাব প্রসঙ্গে শিক্ষকদের মতামত জানতে চেয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। তাতে সিংহভাগই এই প্রতিষ্ঠানের নাম বদলের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। তার পরেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠাল দিল্লি এমস। বৃহস্পতিবার পাঠানো এই চিঠিতে সরকার যে নাম বদলের প্রস্তাব দিয়েছে, তার বিরোধিতা করে লেখা হয়েছে, ডাক্তারি শিক্ষা, গবেষণা এবং সেবা— এই তিন লক্ষ্যে ১৯৫৬ সালে তৈরি হয় দিল্লি এমস। এই নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস এবং পরিচিতি। তাই নাম বদল করলে দেশের বাইরে এবং ভিতরে এই প্রতিষ্ঠান তার পরিচিতি হারাবে। কর্তৃপক্ষের আরও ব্যাখ্যা, এই কারণেই অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শতাব্দীপ্রাচীন প্রতিষ্ঠান কখনও নাম বদলের কথা ভাবেনি। এমনই সব ব্যাখ্যা দিয়ে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর আমলে তৈরি প্রতিষ্ঠানের নাম বদলের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন এমস কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, দেশের সব ক’টি এমসের আলাদা আলাদা নামকরণের প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র। ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে ওই অঞ্চলের স্বাধীনতা সংগ্রামী, মনীষী কিংবা কোনও ঐতিহাসিক নাম দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে মোদী সরকার। সরকারের ব্যাখ্যা, এতে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিচিতি বাড়বে।