ফাইল ছবি
মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করতে চায় নরেন্দ্র মোদীর সরকার। জানা গিয়েছিল, চলতি সপ্তাহে লোকসভায় ওই সংক্রান্ত বিল পেশ হতে পারে। কিন্তু মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়ানো নিয়ে ইতিমধ্যে আপত্তি জানিয়েছে বেশ কয়েকটি বিরোধী দল এবং সমাজকর্মীদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে বিলটি নিয়ে কিছুটা পিছু হটতে পারে মোদী সরকার। আজ সরকারি সূত্রের খবর, মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়সের বিলটি সাংসদদের কোনও প্যানেল যদি খতিয়ে দেখে তা হলে আপত্তি করবে না সরকার।
মেয়েদের বিয়ে ন্যূনতম বয়স কমানোর ব্যাপারে স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতাতেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত বৃহস্পতিবার ওই সংক্রান্ত বিলে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তার পরে প্রশ্ন উঠতে থাকে, শুধু আইন করে কমবয়সি মেয়েদের বিয়ে রোখা কি আদৌ সম্ভব? ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা শুরু হয় সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে। এই পরিস্থিতিতে বিলটি নিয়ে আলোচনার জন্য সরকার প্রস্তুত বলে সূত্রের খবর। এক মন্ত্রীর কথায়, ‘‘কোনও সিলেক্ট কমিটি বিলের ধারা খতিয়ে দেখতে পারে। বিরোধীদের মনোভাব বুঝেই বিলটি সংসদে
পেশ করা হবে।’’
সরকারের পরিকল্পনা ছিল চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই বিলটি পাশ করিয়ে নেওয়ার। অধিবেশন শেষ হতে আর দিনচারেক বাকি। ১২ জন সাংসদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে রাজ্যসভা এবং লখিমপুর খেড়ি-কাণ্ডের জেরে লোকসভা বিরোধীদের বিক্ষোভে অচল হয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়সের বিলটি নিয়ে আপাতত এগোতে চাইছে না সরকার।
কংগ্রেস, সিপিএম, সমাজবাদী পার্টি, এমআইএম-সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে তারা এই বিলের বিরোধিতা করবে। এই বিষয়ে কংগ্রেসের বক্তব্য, নয়া বিলটি ‘সন্দেহজনক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। তাদের দাবি, বিলটি কোনও স্ট্যান্ডিং কমিটি খতিয়ে দেখুক। সিপিএমের বক্তব্য, বিয়ের বয়স বাড়ানোর বদলে মেয়েদের পুষ্টি ও শিক্ষার উপরে বরং জোর দিক সরকার। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘‘১৮ বছর হলে কোনও মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। কিন্তু তখন বিয়ের ক্ষেত্রে যদি তাঁকে নাবালিকা বলে গণ্য করা হয়, তা হলে সেই আইন স্ববিরোধী। নিজের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্কের রয়েছে।’’