২০১৩ সালে এমন দেশের সংখ্যা ছিল ৫২। গ্রাফিক: সৌভিক দেবনাথ
বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট, ভিসা লাগে। কিন্তু একজন ভারতীয় ভিসা ছাড়াই অনেক দেশে যেতে পারেন। সর্বশেষ হিসেব বলছে, বিশ্বের মোট ৫৮টি দেশে ভিসা ছাড়া অথবা ঢোকার পরে ভিসার সুবিধা পান ভারতীয়রা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় বিশ্ব পাসপোর্ট সূচকে ভারতের স্থান নীচে নামলেও ভিসা ছাড়া যাওয়া যায় এমন দেশের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৩ সালে এমন দেশের সংখ্যা ছিল ৫২। এখন আরও ছ’টি দেশ ওই তালিকায় ঢুকেছে।
২০১১ সালে ১৯৯ দেশের মধ্যে ভারতীয় পাসপোর্টের স্থান ছিল ৭৮ নম্বরে। ২০২১ সালে সেটা হয়েছে ৯০। কোন দেশের পাসপোর্টের গুরুত্ব কতটা, তা নির্ভর করে সেই দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া কত সংখ্যক দেশে যেতে পারেন, তার উপরে। গত সাত বছরে ভারত তেমন দেশের সংখ্যা ছ’টি বাড়লেও অন্যান্য দেশ এই ক্ষেত্রে যে হারে উন্নতি দেখিয়েছে, ততটা পারেনি ভারত। আর তার জেরেই বিশ্ব পাসপোর্ট সূচকে ৭৮ থেকে ৯০-তে নেমেছে ভারতীয় পাসপোর্ট।
কোন দেশের পাসপোর্টের গুরুত্ব বা শক্তি কতটা তা জানা যায় ‘দ্য হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স’ দেখে। মূলত ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) এই সূচক তৈরি করে। সর্বশেষ তালিকায় ১৯৯ দেশের মধ্যে সবার উপরে রয়েছে জাপান ও সিঙ্গাপুর। এই দুই দেশের নাগরিকরা ১৯৯-এর মধ্যে ১৯৩ দেশেই ভিসা ছাড়া যেতে পারেন। দ্বিতীয় স্থানে জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রে দেশের সংখ্যা ১৯০। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে চারটি দেশ। ফিনল্যান্ড, ইতালি, লুক্সেমবার্গ ও স্পেন। ওই দেশগুলির নাগরিকেরা ভিসা ছাড়া যেতে পারেন ১৮৯ দেশে। এই তালিকায় সবার শেষে ১১৬ নম্বরে রয়েছে আফগানিস্তান। তার একটু আগে ১১৩-তে পাকিস্তান। ১০৮-এ বাংলাদেশ।
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
ভিসা ছাড়াই ভারতীয়রা যেতে পারেন ওশিয়ানিয়া অন্তর্ভুক্ত দেশ কুক দ্বীপপুঞ্জ, নিউয়ে, ভানুয়াতু, মাক্রোনেশিয়া এবং ফিজিতে। পৌঁছানোর পরে ভিসা নিতে হয় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, পালাউ দ্বীপপুঞ্জ টুভালু এবং সামোয়ায়। পশ্চিম এশিয়ার দেশের মধ্যে কাতারে যেতে কোনও ভিসা লাগে না। ইরান ও জর্ডনে ঢুকে ভিসা নিতে হয় ভারতীয়দের। ইউরোপের আলবেনিয়া ও সার্বিয়ায় যেতে ভিসার প্রয়োজন নেই। ক্যারিবিয়ান দেশগুলির মধ্যে এই সংখ্যা বেশ ভাল। বারবাডোজ, ব্রিটিশ ভারজিন দ্বীপপুঞ্জ, ডোমিনিকা, গ্রেনাডা, হাইতি, জামাইকা, মন্তসেরাট, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডিজ, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো যেতে ভিসাই লাগে না। গিয়ে ভিসা নিতে হয় সেন্ট লুসিয়ায়।
এশিয়া মহাদেশের মধ্যে প্রতিবেশী ভুটান, নেপাল ছাড়াও ভিসা লাগে না ম্যাকাও ও ইন্দোনেশিয়া যেতে ভিসা লাগে না। গিয়ে ভিসা পাওয়া যায় কম্বোডিয়া, লাওস, মলদ্বীপ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, টিমর-লেসটে এবং তাইল্যান্ডে। আমারিকা মহাদেশের বলিভিয়ায় গিয়ে ভিসা নিতে হয় আর এল সালভাডোর যেতে ভিসাই লাগে না। আফ্রিকা মহাদেশের বৎসোয়ানা, কেপ ভার্ডে দ্বীপপুঞ্জ, কোমোরেস দ্বীপপুঞ্জ, ইথিওপিয়া, গাবোন, গেনিয়া বিসাউ, মাদাগাস্কার, মৌরিশিনিয়া, মোজাম্বিক, রাওয়ান্ডা, সেশেলস, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, উগান্ডা, জিম্বাবোয়ে টোগো, তানজিনিয়ায় গিয়ে ভিসা নেওয়া যায়। মরিশাস, টিউনিশিয়া, সেনেগাল যেতে ভিসাই লাগে না।