২০ বছর ধরে নিখোঁজ হামিদা।
২০ বছর আগে একটি সংস্থার মাধ্যমে রাঁধুনির কাজ করতে দুবাই গিয়েছিলেন। তার পর থেকে আর খোঁজ মেলেনি হামিদা বানুর। অবশেষে সেই ভারতীয় মহিলার খোঁজ মিলল পাকিস্তানে। পরিবারের সঙ্গে তাঁকে মিলিয়ে দিল সামাজিক নেটমাধ্যম।
মুম্বইয়ে থাকতেন হামিদা। তাঁর মেয়ে ইয়াসমিন শেখ বলেন, ‘‘দুবাইয়ে একটি নিয়োগকারী সংস্থার সাহায্যে রাঁধুনির কাজ করতে গিয়েছিলেন মা। তার আগে মাঝেমধ্যেই কাতারে দুই থেকে চার বছরের জন্য কাজ নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু দুবাই গিয়ে আর ফেরেননি। অনেক খোঁজ করেও লাভ হয়নি। প্রমাণ না থাকায় থানায় অভিযোগও করতে পারিনি।’’ ইয়াসমিনের কথায, ‘‘যখনই নিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, ওরা জানিয়েছে, মা আমাদের সঙ্গে দেখা করতে চান না।’’
এক পাকিস্তানি সমাজকর্মী ওয়ালিউল্লাহ মারুফের সঙ্গে দেখা করেন ৭০ বছরের হামিদা। জানান, কীভাবে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে পড়শি দেশ পাকিস্তানে তাঁকে পাচার করা হয়েছিল। এর পর মারুফ মুম্বইয়ের এক সমাজকর্মী খাফলান শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খাফলান হামিদার আর্জি প্রকাশ করে একটি ভিডিয়ো সামাজিক নেটমাধ্যমে প্রকাশ করেন। ভিডিয়োটি চোখে পড়ে হামিদার মেয়ে, যিনি থাকেন কুর্লাতে। তিনি মাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আবেদন করেছেন ভারত সরকারকে।
পাচারের পর পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের হায়দরাবাদে থাকতে শুরু করেন। সেখানে স্থানীয় এক জনের সঙ্গে বিয়েও হয়। ওই ব্যক্তি ছিলেন বিপত্নীক। বছর কয়েক আগে তিনিও মারা গিয়েছেন। আপাতত নিজের সৎ ছেলের কাছে থাকছেন হামিদা। এ বার তিনি নিজের পরিবারের কাছে ফিরতে চান।