ঝাড়গ্রাম সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। —প্রতীকী চিত্র।
ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গাড়ি রাখার জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই হাসপাতালেরই এক প্রৌঢ় কর্মচারীর ঝুলন্ত দেহ। হাসপাতালের গ্রুপ সি কর্মী হিসাবে কাজ করতেন তিনি। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ সরকার (৫২)। বৃহস্পতিবার সকালেও পরিচিতদের সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলেছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে রহস্য ঘনিয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কর্মীর দেহ উদ্ধারের পর ঝাড়গ্রামের হাসপাতালে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘ দিন ধরে ঝাড়গ্রামের হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন বিশ্বজিৎ। হাসপাতাল চত্বরেই কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে অন্যান্য দিনের মতোই তিনি দোকানে বসে চা খেয়েছেন। পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তার পর কোয়ার্টারে ফিরে গিয়েছিলেন। কিছু ক্ষণ করে নিজের স্কুটি নিয়ে আবার হাসপাতালে আসেন বিশ্বজিৎ। তার কিছু ক্ষণ পরেই হাসপাতালের গাড়ি রাখার জায়গায় অন্য কর্মীরা তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের এক দিকে গাড়ি রাখার জন্য একটি শেড রয়েছে। সেখানেই বিশ্বজিতের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। পুলিশ তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কী কারণে এই মৃত্যু, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আদৌ তা আত্মহত্যা কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মৃতের পরিচিত এবং হাসপাতালের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপাল অনুরূপ পাখিরা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘সকালে হাসপাতালের এক কর্মী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কেন এই আত্মহত্যা, পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’’ ঝাড়গ্রামের এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘হাসপাতাল ক্যাম্পাসে এক জন কর্মচারী ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। এখনও মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।’’