শিবসেনার মুখপাত্র ‘সামনা’র সম্পাদক হয়েছেন সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার সঞ্জয় রাউত। তাঁকে সরিয়ে শিবসেনার মুখপাত্র ‘সামনা’র সম্পাদক হয়েছেন সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই সম্পাদকীয়তে মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের বিক্ষোভে শামিল না হওয়ার জন্য তীব্র কটাক্ষ করা হল এনসিপিকে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও খোঁচা দেওয়া হয়েছে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, বিরোধীদের মধ্যে ঐক্যের অভাব সুবিধা করে দিচ্ছে শাসক বিজেপিকে।
লেখা হয়েছে, ইডি আর সিবিআইকে ব্যবহার করে বিরোধীদের নিশানা করছে মোদী সরকার। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিলে বিরোধীদের না থাকাটা গণতন্ত্রের পক্ষে ‘উদ্বেগজনক’। এই প্রতিবাদ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রশংসা করা হয়েছে রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর। তাঁদের আটক করার জন্য একহাত নেওয়া হয়েছে বিজেপি সরকারকে।
নাম না করেই এনসিপিকে খোঁচা দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘বিরোধী নেতাদের ভূমিকা অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার জন্য উদ্বেগজনক। ইডিকে কাজে লাগিয়ে সরকার (মহারাষ্ট্র) ফেলে দেওয়া হল। নতুন সরকার গড়া হল। এই পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়েই বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির মতো ইস্যুতে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে।’
এর পরেই পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে সম্পাদকীয়তে। লেখা হয়েছে, ‘সামান্য কারণে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিলেন না তৃণমূল সাংসদরা। বাংলাতেও ইডি, সিবিআইয়ের রাজনৈতিক কার্যকলাপ বেড়েছে। রাহুল, সনিয়া গাঁধীকেও নিশানা করেছে ইডি। তার পরেও তাঁরা বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে পথে নেমেছেন।’ প্রতিবেদকের মতে, ‘বিরোধীদের মধ্যে ঐক্যের অভাব সুবিধা করে দিচ্ছে বিজেপিকে। বিরোধীদের এই থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। কেউ নির্ভীক হলে এই শিক্ষাটা মনে রাখা উচিত। ’