ফাইল চিত্র।
রেলের চাকরি পেতে অনেক তরুণ-তরুণীকে দীর্ঘ ট্রেন সফর করে ভিন্ রাজ্যে পরীক্ষা দিতে যেতে হয়। বাড়ির কাছাকাছি রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের পরীক্ষা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়নি বলে চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এত দিনে সেই সমস্যার সুরাহা হতে চলেছে বলে রেল সূত্রের দাবি। এ বার গুগল ম্যাপের সাহায্য নিয়ে প্রার্থীর বাড়ির কাছে পরীক্ষা কেন্দ্রের হদিস দেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে রেল।
রেল সূত্রের খবর, নতুন ব্যবস্থায় বাড়ি থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রের বন্দোবস্ত হচ্ছে। নির্ধারিত পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে ট্রেন ও বাস যাতে ঠিকঠাক মেলে, লক্ষ রাখা হচ্ছে সে-দিকেও। পরীক্ষার্থীর দেওয়া তথ্য থেকে ঠিকানা এবং পিন কোড বার করে গুগল মানচিত্রের মাধ্যমে তাঁকে নিকটবর্তী পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির সঙ্গে যুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এর ফলে বাড়ির কাছাকাছি সম্ভাব্য পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ণয় করার প্রক্রিয়া সহজ হবে।
নির্দিষ্ট এলাকা ধরে পরীক্ষা কেন্দ্র ভাগ করার প্রক্রিয়ায় প্রায়শই কিছু পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হয়। নির্দিষ্ট একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনও কারণে আসন সঙ্কুলান না-হলে অন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে স্থানান্তরের প্রক্রিয়ায় সমস্যায় পড়তে হয় পরীক্ষার্থীদের। নতুন ব্যবস্থায় যন্ত্র এবং কৃত্রিম মেধা ব্যবহার করে ওই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলছে। এই পরিকল্পনা সফল হলে রাত জেগে পরীক্ষার্থীদের ট্রেনযাত্রার ভোগান্তি অনেকাংশে কমবে বলে রেলকর্তাদের দাবি।
আগামী ৩০ জুলাই রেলের লেভেল৪ এবং লেভেল৬-এর কম্পিউটার-নির্ভর পরীক্ষা রয়েছে। সাত হাজার শূন্য পদের জন্য কমবেশি ৬০ হাজার প্রার্থী পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ওই পরীক্ষার ক্ষেত্রে কেন্দ্র নির্ধারণের জন্য নতুন প্রযুক্তি কাজে লাগানো হচ্ছে। রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের কর্তাদের দাবি, এ-পর্যন্ত পুরুষ পরীক্ষার্থীদের বেশির ভাগেরই ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা গেলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর সমস্যার অভিযোগ এসেছে। মহিলা পরীক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্রের সংখ্যা কম থাকায় তাঁদের বাড়ি থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে।