কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। — ফাইল চিত্র।
এ বার অমিত শাহের মন্তব্য-বিতর্কে মুখ খুলল বাবাসাহেব অম্বেডকরের পরিবার। রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যকে ঘিরে চাপানউতরের মাঝে বৃহস্পতিবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন অম্বেডকরের পৌত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ প্রকাশ অম্বেডকর। শাহের মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন প্রকাশ। পাশাপাশি, শাহের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস জারির ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূলকেও।
প্রকাশ বলেন, ‘‘বাবাসাহেবের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের অসম্মানজনক মন্তব্য সহ্য করা হবে না। অম্বেডকর-বিরোধী মানসিকতাকে নির্মূল করতে রাজপথ থেকে সংসদ পর্যন্ত লড়াই করা হবে।’’ এর পরেই শাহের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দেওয়ার জন্য তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের প্রশংসা করেন প্রকাশ। তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের মানসিকতার বিরুদ্ধে লড়তে হবে। আমি খুশি যে ডেরেকও এই লড়াইয়ের একজন অংশীদার।’’ প্রসঙ্গত, অম্বেডকরের পৌত্র প্রকাশ বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ীর সভাপতি। মহারাষ্ট্রের অকোলা কেন্দ্র থেকে দু’বার সাংসদ হয়েছিলেন।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তৃতায় বাবাসাহেব অম্বেডকরের প্রসঙ্গ ওঠে, যা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে শাহ বলেন, ‘‘এখন এক ফ্যাশন হয়েছে— অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর। এত বার যদি ভগবানের নাম নিতেন তবে সাত জন্ম স্বর্গবাস হত।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে অম্বেডকরের অনেক মতপার্থক্য ছিল। সেই কারণেই নেহরুর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।’’ ওই মন্তব্যকে ঘিরে বুধবার সংসদের দুই কক্ষেই শোরগোল পড়ে যায়। অধিবেশন স্থগিত হয়ে যায় রাজ্যসভা এবং লোকসভায়। ওই কটূক্তির জন্য শাহকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তোলেন বিরোধীরা। বুধবার সকালে সংসদের বাইরে কংগ্রেস সাংসদেরা অম্বেডকরের ছবি হাতে বিক্ষোভ দেখান। ওঠে ‘জয় ভীম’ স্লোগান। অমিতের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস জারি করে তৃণমূল। সমালোচনা করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘‘অম্বেডকরের বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক মন্তব্য করে গণতন্ত্রের মন্দিরকে অপমান করেছেন শাহ।’’