unnatural death

ইংল্যান্ডে সন্তান-সহ ভারতীয় বংশোদ্ভূত নার্সের রহস্য-মৃত্যু, দেহ ফেরাতে আতান্তরে পরিবার

বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডে গুরুতর আহত অবস্থায় দুই সন্তান-সহ অঞ্জুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর দুই সন্তানেরও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:৫০
Share:

ইংল্যান্ডে দুই সন্তান-সহ ভারতীয় বংশোদ্ভূত নার্সের অস্বাভাবিক মৃত্যু। — ফাইল ছবি।

দুই সন্তান-সহ ব্রিটেনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নার্সের রহস্য-মৃত্যুর এক দিন পরেও কাটল না ধন্দ। এ বার মেয়ে, নাতি, নাতনির দেহ ভারতের ফেরাতে আতান্তরে পড়েছে মৃতার পরিবার। এ জন্য খরচ ৩০ লক্ষ টাকা। যা দেওয়া তাদের সাধ্যের বাইরে বলে জানিয়েছে মৃত নার্সের পরিবারের। সব মিলিয়ে অঞ্জুর মা-বাবা তাঁদের মেয়ে, নাতি-নাতনিকে শেষ দেখা দেখতে পাবে কি না, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয়।

Advertisement

আদতে কেরলের বাসিন্দা ৩৫ বছরের অঞ্জু অশোক ৬ বছরের ছেলে এবং ৪ বছরের মেয়েকে নিয়ে স্বামী সাজুর সঙ্গে থাকতেন পূর্ব ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটনের কেটেরিংয়ে। বৃহস্পতিবার বাড়িতেই গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া যায় অঞ্জুকে। একই অবস্থায় ছিল তাঁর দুই সন্তানও। তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা অঞ্জুকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় দুই সন্তানেরও।

মেয়ের পরিণতির খবর এসে পৌঁছয় কেরলের কোট্টায়াম জেলার ভাইকমে অঞ্জুর বাড়িতেও। অঞ্জুর মা-বাবা জানান, মেয়েকে গলায় গামছা বা ওই জাতীয় কিছু পেঁচিয়ে মারা হয়েছে। আটক করা হয়েছে জামাই সাজুকে।

Advertisement

অঞ্জুর মায়ের অভিযোগ, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে জামাই সাজু। তিনি নিয়মিত স্ত্রী, সন্তানদের উপর অত্যাচার চালাতেন বলে অভিযোগ। অঞ্জুরা আগে সৌদি আরবে থাকতেন। সেই সময় অঞ্জুর মা গিয়ে কিছু দিন ছিলেন সেখানে। মায়ের দাবি, সেখানেও সাজু মাঝেমাঝেই অঞ্জুকে পেটাতেন। তার পর মেয়ে, জামাই ইংল্যান্ড চলে যান। সেখানকার সরকারি হাসপাতালে চাকরি নেন অঞ্জু। কিন্তু সাজু বেকার ছিলেন।

এই অবস্থায় মেয়ের মৃত্যুসংবাদ এসে পৌঁছয় কেরলের বাড়িতে। মেয়েকে শেষ দেখা দেখতে চান বৃদ্ধ মা, বাবা। কিন্তু মেয়ে, নাতি-নাতনির দেহ ইংল্যান্ড থেকে কেরলে আনতে খরচ হবে ৩০ লক্ষ টাকা। যা দেওয়ার ক্ষমতা অঞ্জুর বৃদ্ধ মা, বাবার নেই। সম্বল বলতে কেবল একটি বাড়ি ও সামান্য কিছু জমি। অঞ্জুর বাবা বলেন, ‘‘বাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভাবছি। মেয়েটাকে শেষ এক বার দেখতে চাই। সে জন্য বাড়ি বিক্রি করতে হবে। তা হলে বুড়োবুড়ি থাকব কোথায়?’’ অঞ্জুর মায়ের আশা মেয়েকে শেষ বার দেখার সাধ তাঁদের পূরণ হবে। সহায়তা পাবেন অন্যদের থেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement