নীতীশ কুমারকে লাগাতার আক্রমণে প্রশান্ত কিশোর। — ফাইল ছবি।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে আক্রমণে ফাঁক রাখছেন না একদা তাঁরই দু’নম্বর টু হিসাবে রাজনীতির ময়দানে পা রাখা ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। বিহারে উপনির্বাচনে জেডিইউ-এর খারাপ ফলের পর মহাগঠবন্ধনের মধ্যেই নীতীশের ইস্তফার দাবি উঠছে। নীতীশ নিজেও তেজস্বীকে আগামীর নেতা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। তেজস্বীর নেতৃত্বেই এ বার বিহারের লড়াই হবে বলে জানিয়েও দিয়েছেন তিনি। তার প্রেক্ষিতেই এ বার নীতীশকে খোঁচা দিলেন পিকে। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘এতটা অপেক্ষা করবেন কেন!’’
বিহারে আরজেডি যে জেডিইউ-এর চেয়ে বড় দল, তা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন পিকে। তিনি বলেন, ‘‘তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী করতে ২০২৫ পর্যন্ত অপেক্ষা করার কী প্রয়োজন? ওই জোটে আরজেডি সবচেয়ে বড় দল। নীতীশের উচিত তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী করে দেওয়া। এতে তেজস্বী হাতে তিন বছর সময়ও পাবেন। মানুষ তাঁর কাজের উপর বিচার করেই পরের নির্বাচনে ভোট দেবেন বা দেবেন না।’’
গত বিধানসভা ভোটে বিহারে আরজেডি একা পেয়েছিল ৭৫টি আসন। বিজেপির চেয়ে একটি আসন বেশি। কিন্তু জেডিইউ বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে বিহারে সরকার তৈরি করে। তার মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ। কিন্তু গত অগস্টে বিজেপির হাত ছেড়ে আরজেডির হাত ধরেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী থেকে যান তিনি-ই। কিন্তু সম্প্রতি উপনির্বাচনে খারাপ ফল করেছে জেডিইউ। তার পরেই নীতীশের ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছেন একাধিক নেতা। তেজস্বী-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন আরজেডি বিধায়ক অনিল কুমার সহানী বলেছিলেন, ‘‘উপনির্বাচনে হারের দায় নিয়ে অবিলম্বে নীতীশের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়া উচিত। বিজেপিকে হারানোর জন্য তেজস্বীই উপযুক্ত নেতা।’’ তার পরেই জোটের বিধায়ক ও নেতাদের নিয়ে বৈঠকে তেজস্বীকে নেতা হিসাবে তুলে ধরেন নীতীশ। জানান, আগামী ভোটে লড়াই হবে তেজস্বীর নেতৃত্বেই। এই প্রেক্ষিতেই দ্রুত কুর্সি ছাড়ার দাবিতে নীতীশের উপর চাপ বাড়ালেন পিকে।