প্রতীকী ছবি।
করোনা অতিমারির অভিঘাত সত্ত্বেও ২০২১ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির সম্ভাব্য হার ৭.৩ শতাংশ হতে পারে। সোমবার এমনই পূর্বাভাস মিলেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের অর্থনৈতিক ও সামাজিক শাখা ‘ইউনাইটেড নেশনস ডিপার্টমেন্ট অব ইকনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স' (ইউএন ডিইএসএ)-এর তরফে প্রকাশিত ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে, করোনার কারণে গত বছর বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্কোচন হয়েছে প্রায় ৪.৩ শতাংশ। ২০২১ সালে সম্ভাব্য বৃদ্ধি ৪.৭ শতাংশ।
করোনার কারণে আর্থিক সঙ্কোচনের পরিমাণ ২০০৯ সালের মন্দা পরিস্থিতির তুলনায় আড়াই গুণ বেশি বলে ‘বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ২০২১ সালের সম্ভাবনা’ (ওয়ার্ল্ড ইকনমিক সিচুয়েশন অ্যান্ড প্রসপেক্টস-২০২১) শীর্ষক ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, বর্তমান আর্থিক বৃদ্ধির ধারা বজায় থাকলে চলতি বছর শুধুমাত্র অতিমারির ধাক্কায় বিপর্যস্ত অর্থনীতির ‘ক্ষত’ মেরামত হতে পারে।
ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সামাজিক ও জলবায়ুগত স্থিতিশীলতা কাজে লাগিয়ে যদি বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের চেষ্টা শুরু না হয় তবে দীর্ঘ দিন ধরে মন্দার প্রভাব চলতে থাকবে।
কোভিড পরিস্থিতির আগেই অবশ্য ভারতীয় অর্থনীতির অধোগতি শুরু হয়েছিল। ২০১৯ সালে আর্থিক বৃদ্ধির হার নেমে এসেছিল ৪.৭ শতাংশে। ২০২০ সালে সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হলেও অতিমারির আঘাতের কারণে তা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি ব্রিটেনের অর্থনীতি সমীক্ষা সংস্থা ‘সেন্টার ফর ইকনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ’ (সিইবিআর)-এর শনিবার প্রকাশিত বার্ষিক রিপোর্টে ‘ভবিষ্যবাণী’ করা হয়েছিল, ভারতীয় অর্থনীতি ২০২১ সালে ৯ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৭ শতাংশ প্রসারিত হবে।